শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫

জাতীয় গ্রিডে ত্রুটির কারণে ঢাকা বিভাগের বেশ কয়েকটি জেলাসহ খুলনা ও বরিশাল বিভাগের সবকটি জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন

জাতীয় গ্রিডে ত্রুটির কারণে ঢাকা বিভাগের বেশ কয়েকটি জেলাসহ খুলনা ও বরিশাল বিভাগের সবকটি জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন

 




ভবনা ডেস্ক : জাতীয় গ্রিডে ত্রুটির কারণে ঢাকা বিভাগের বেশ কয়েকটি জেলাসহ খুলনা ও বরিশাল বিভাগের সবকটি জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটেছে। এতে অন্ধকারে রয়েছে জেলাগুলো।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৫টা ৪৮ মিনিটে জাতীয় গ্রিডে সমস্যা দেখা দেয়। ফলে সন্ধ্যা নামতেই অন্ধকারে ছেয়ে যায় দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের ২১ জেলা।

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হায়দার আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গোপালগঞ্জের আমিন বাজারে ন্যাশনাল গ্রিডে সমস্যা হওয়ায় এ ব্ল্যাকআউট হয়। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে এবং বিভিন্ন জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ করা সম্ভব হচ্ছে। তবে পুরোপুরি সমাধান হতে আরো কিছু সময় লাগবে। কাজ চলমান আছে। খুব শিগগির স্বাভাবিক অবস্থায় চলে আসবে।

তিনি আরো বলেন, খুলনা শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয় ৫টা ৪৮ মিনিটে। এর দুই ঘণ্টা পর ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। তবে সব জেলায় এখনো পুরোপুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হয়নি।

সংসদ ও রাষ্ট্রপতির মেয়াদ ৫ বছরের পক্ষে জামায়াতে ইসলামী

সংসদ ও রাষ্ট্রপতির মেয়াদ ৫ বছরের পক্ষে জামায়াতে ইসলামী

 




ভবনা ডেস্ক : জাতীয় সংসদ ও রাষ্ট্রপতির মেয়াদ আগের মতোই ৫ বছর রাখার পক্ষে মত দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ঐকমত্য কমিশন চার বছর মেয়াদের প্রস্তাব দিলেও জামায়াত চায়, এই মেয়াদ পাঁচ বছরই থাকুক। তবে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদের প্রস্তাবে একমত হয়েছে দলটি।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী বৈঠকের মধ্যবর্তী অংশ শেষে এ কথা জানান দলটির নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের।

ডা. তাহের বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব ছিল, সংসদ ও রাষ্ট্রপতির মেয়াদ চার বছর হবে। আমরা এর সঙ্গে দ্বিমত জানিয়েছি। আমরা বলেছি, সংসদ ও রাষ্ট্রপতির মেয়াদ পাঁচ বছর থাকবে।

তবে, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত বলে জানিয়েছে জামায়াত।

ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। তবে এটার ফরমেশন, ন্যাচার, প্রসেস সম্পর্কে আমরা আলোচনা করছি।

জামায়াতের এই নায়েবে আমীর বলেন, জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মতবিনিময় চলছে। পাঁচটি কমিশনের রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল। আমরা আলোচনা শুরু করেছি সংবিধান সংস্কারের ওপরে দেওয়া প্রস্তাবনা দিয়ে। আলোচনা বেশ ফলপ্রসু হচ্ছে বলে আমরা মনে করছি। অনেক বিষয়ে আমাদের ভেতরে মতবিনিময় হয়েছে, নানা বিষয়ে ব্যাখ্যা হয়েছে। কিছু কিছু বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি।

অবশ্য, আলোচনা আজ শেষ নাও হতে পারে জানিয়েছেন তিনি। ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, বিষয়গুলো জাতীয় স্বার্থের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বড় অংশীদার হিসেবে জামায়াতে ইসলামী অত্যন্ত গুরুত্ব ও মনোযোগের সঙ্গে সমস্ত সংস্কারকে বিবেচনা করছে। যেটা দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণকর আমরা সে ব্যাপারে মত দিচ্ছি, একমত হচ্ছি। এখানে ব্যক্তি বা দল আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। বাংলাদেশ, বাংলাদেশের মানুষ, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ এবং সমৃদ্ধ শান্তিময় বাংলাদেশ আমাদের লক্ষ্য।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষে এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত রয়েছেন কমিশন সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার ও ড. ইফতেখারুজ্জামান।

অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে রয়েছেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, ড. হামিদুর রহমান আযাদ, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দসহ ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল।

শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫

ময়মনসিংহে ডা. শফিকুর রহমান আমরা দেশকে এমনভাবে গড়বো যেখানে ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে না

ময়মনসিংহে ডা. শফিকুর রহমান আমরা দেশকে এমনভাবে গড়বো যেখানে ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে না

 



ভবনা ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আজকে বাংলাদেশ একটি অঙ্গীকারে আবদ্ধ। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেই বাংলাদেশে কোনো ধরনের জুলুম হবে না, শোষণ হবে না, নিপীড়ন হবে না। নতুন কোনো ফ্যাসিবাদের জন্ম নিবে না। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই যেখানে মানুষে মানুষে কোনো বৈষম্য থাকবে না, যেখানে আমরা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হবো না, যেখানে দুর্নীতির দুর্গন্ধও থাকবে না। ঘুষের যাঁতাকলে পিষ্ঠ হয়ে কোনো নাগরিক কাঁদবে না। বিচারের বাণী আর নিভৃতে কাঁদবে না, বিচার না পেয়ে কেউ আত্মহত্যা করবে না। সেই চিত্র আর আমরা বাংলাদেশে দেখতে চাই না। এমন বাংলাদেশ চাই, যেখানে দল-ধর্মের অধিকারের ব্যাপারে কোনো ব্যবধান থাকবে না। দেশের প্রতিটি নাগরিকের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ময়মনসিংহের সার্কিট হাউজ ময়দানে মহানগরী জামায়াত আয়োজিত বিশাল কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন।

মহানগরী আমীর কামরুল আহসান এমরুলের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি শহীদুল্লাহ কায়সারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি এড. মতিউর রহমান আকন্দ।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা বাংলাদেশকে আল্লাহর বিধান এবং সুন্নাহর ভিত্তিতে দেখতে চাই। নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সা. প্রতিষ্ঠিত মদিনার নগর রাষ্ট্রটি ছিল লিখিত সংবিধানের ভিত্তিতে দুনিয়ার প্রথম আধুনিক রাষ্ট্র। এর আগে দুনিয়ার কোনো রাষ্ট্রের লিখিত সংবিধান ছিল না। মদিনা কেন্দ্রিক নগররাষ্ট্র থেকেই দুনিয়ার প্রথম লিখিত সংবিধানের জন্ম। এখান থেকেই হিউম্যান চার্টার্ড তৈরি হয়েছে এবং এটাকে চ্যালেঞ্জ করার দুঃসাহস দুনিয়ার কোনো মতবাদের নেই। মদিনার এই সনদের মাধ্যমেই সকল মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, জাতির সাথে বেঈমানী করলে সে যেই ধর্মের লোকই হোক তাকে শাস্তি পেতেই হবে। বিশ্বাসঘাতকদের দুনিয়ার কোনো রাষ্ট্রই ক্ষমা করে না। কারণ এটা রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন। মূল সার্বভৌমত্বের মালিক আল্লাহ রাব্বুল আলামীন। তিনি পবিত্র কুরআনে বলেছেন, ‘হে নবী, আপনি দুনিয়ার মানুষকে জানিয়ে দিন, তিনিই (আল্লাহ) হচ্ছেন দুনিয়ার সকল বাদশাহর মালিক। আসমান-জমিনের একক কর্তৃত্ব একমাত্র তারই।’

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে তারা ধরে নিয়েছিলেন এবং তাদের অহংকারে আমাদের মনে হয়েছিল তারা কিয়ামত পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন। তারা দেশের মজলুম মানুষকে নিয়ে উপহাস করতেন। তারা দেশপ্রেমিক লোকদের ফাঁসি দিয়ে হত্যা করে উল্লাস প্রকাশ করেছেন, মিষ্টি বিতরণ করেছেন। তবে তারা আল্লাহর সঠিক বিচার পেয়েছেন।

তিনি ময়মনসিংহবাসীদের আশ্বস্ত করে বলেন, আল্লাহর মানবিক বিধান কায়েমে আমরা সকলে এক। আমাদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। আমাদের আল্লাহ এক, নবী এক। আমাদের জীবন বিধান এক। তার ভিত্তিতেই ঐক্যের বাংলাদেশ গড়ব ইনশআল্লাহ। এতে কোনো বাধা-বিপত্তি মানব না। কোনো বাধার মুখে থেমে যাব না।

তিনি বলেন, আমরা কোনো অন্যায়ের সাথে আপস করব না। আমাদের একমাত্র ভরসা আল্লাহর ওপর। সুতরাং আমরা ভয় করব একমাত্র আল্লাহকে। আমি বলতে চাই, কেউ যেন আমাদের দিকে চোখ তুলে না তাকায়। যুগে যুগে নবী-রাসূল আলাইহিস সাল্লামগণ এবং তাদের অনুসারীগণ অসত্যের বিরুদ্ধে আপসহীন লড়াই সংগ্রাম করে জীবন দিয়েছেন, তবু কারো কাছে মাথা নত করেননি। আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকুন। ঐক্যের শক্তিতেই বিজয় আসবে ইনশাআল্লাহ। কোনো ব্যক্তি বা দলকে ক্ষমতায় বসানো আমাদের উদ্দেশ্য নয়। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য।

রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫

নেত্রকোনার চ্যাপা শুঁটকি যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের ভিন্নস্থানে

নেত্রকোনার চ্যাপা শুঁটকি যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের ভিন্নস্থানে

 




ভবনা ডেস্ক: জেলার স্থানীয় মানুষের চাহিদা মিটিয়ে চ্যাপা শুঁটকি যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে। চ্যাপা শুঁটকি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন এ জেলার বেশ কিছু ব্যবসায়ী।

সারাদেশে সিদল নামে পরিচিত থাকলেও জেলাবাসীর কাছে চ্যাপা শুঁটকি মূলত হিদল নামে পরিচিত। এ অঞ্চলে হিদলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে,বিশেষ করে বর্ষাকালে যখন মাঠ, ঘাট, নদীনালা পানিতে টইটম্বুর তখনি গ্রাম-শহরের বেশিরভাগ  রান্নাঘর থেকে ভেসে আসে হিদল ভর্তার ঘ্রাণ। লেবুর রস চিপে হিদল ভর্তা দিয়ে ভাত খাওয়া যেন অমৃত এক খাবার।

হাওরাঞ্চল হিসেবে পরিচিত জেলার  প্রতিটি উপজেলায় কম-বেশি চ্যাপা শুঁটকি উৎপাদন করা হয়ে থাকে। তবে সবচেয়ে বেশি উৎপাদন করা হয় জেলার বারহাট্টা উপজেলার চরসিংধা ও মোহনগঞ্জ উপজেলায় শুঁটকি মহলে। জেলার সদর উপজেলার পঞ্চাননপুর গ্রামেও বেশ কয়েকটি পরিবার এ চ্যাপা শুঁটকি উৎপাদনের সাথে সম্পৃক্ত।

এ চ্যাপা শুঁটকি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রি করা হয় এবং সারাদশেই রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা এ জেলার প্রবাসীরাও দেশ থেকে চলে যাওয়ার সময় সঙ্গে করে নিয়ে যান এ লোভনীয় চ্যাপা শুঁটকি।

পঞ্চাননপুর গ্রামের চ্যাপা শুঁটকি কারিগর শ্রীকান্ত চন্দ্র বর্মণ জানান,” বংশ পরম্পরায় তারা এ কাজের সাথে সম্পৃক্ত, প্রায় একশত বছরেরও বেশি সময় নিয়ে তাদের পরিবার এ কাজ করে যাচ্ছেন।  তারা চ্যাপা শুঁটকির একটি বড় অংশ সনাতন পদ্ধতিতে মাছ প্রক্রিয়াকরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। চ্যাপা শুঁটকির কাঁচামাল তথা পুঁটিমাছ বাছাইকালে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। নষ্ট, পঁচা বা আংশিক পঁচা মাছ ব্যবহার করা হয় না। সদ্য আহরণ করা মাছকে সংগ্রহ করে যথাযথভাবে পরিচর্যা করে শুকানো হয়।

পরবর্তীতে বিভিন্ন বাজার থেকে শুকনো মাছ ক্রয় করে গোডাউনে নিয়ে আসেন। এবং কিছুদিন গোডাউনে রাখার পর শুটকি বাছাই  করা হয় এবং বাছাইকৃত মাছ পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অবস্থায় শুঁটকিকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ”

তিনি আরো জানান, এজন্য প্রথমে মাটির মটকা তেল দিয়ে ভিজিয়ে ভালোভাবে প্রস্তুত করতে হয়। পুঁটি মাছ থেকে উৎপাদিত তেলে অনেক ময়লা ও বাড়তি আর্দ্রতা থাকে তাই প্রাপ্ত তেল ভালোভাবে ছেঁকে নিতে হয়। ছেঁকে নেয়া তেল পুনরায় চুলায় ভালোভাবে ফুটিয়ে বা গরম করে ব্যবহার করতে হয়। এতে তেলে থাকা বাড়তি আর্দ্রতা চলে যায় এবং জীবাণুও মুক্ত হয়। তেলে ভেজানো মাটির মটকা মাটিতে পুঁতে হয়। তারপর মটকার ভিতরে ভালোভাবে পরিষ্কার হাত দিয়ে চেপে চেপে ভরতে হয় বাছাইকৃত শুঁটকি। মটকাতে শুঁটকি ভরা হলে মটকার মুখে চূর্ণ করা শুঁটকি মাছ ও মাছের তেল দিয়ে প্রস্তুতকৃত পেস্ট দিয়ে প্রথমে একটি স্তর তৈরি করতে হয়। স্তরের উপরে মটকার মুখে সমানভাবে একটি পলিথিন কাগজ দিয়ে তার উপর নদী থেকে সংগৃহীত মাটি দিয়ে  ঢেকে পলিথিন মুড়ে  রাখতে হয়। এভাবে কিছুদিন রেখে দেয়ার পর মটকায় চ্যাপা শুঁটকি তৈরি হয় এবং তারপর তা বাজারজাত করা হয়।

কারিগররা জানান বংশ পরম্পরায় তারা শুঁটকি তৈরি করে আসছেন। শুঁটকি উৎপাদন করে কোন রকমে তাদের সংসার চলে, প্রতি মটকি ভরতে ২০০টাকা করে পারিশ্রমিক পান তারা। সরকারি সহায়তা এবং ক্ষুদ্র ঋণ পেলে কাজের গতি এবং জীবন মান উন্নয়ন হতো তাদের।

জেলার মেছুয়া বাজারের শুঁটকি ব্যবসায়ী অমল চন্দ্র জানান “বাজারে চ্যাপা শুঁটকির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।  সারাবছর চ্যাপা শুঁটকির  চাহিদা থাকলে ও বর্ষাকালে বিশেষ  করে বৈশাখ, জৈষ্ঠ্য, আষাঢ় এ তিন মাস  চ্যাপা শুঁটকি সবচেয়ে বেশি বিক্রি  হয়। আর শুঁটকির  দাম বেশি হওয়ায় মানুষের আগ্রহ থাকলেও এখন শুঁটকি পরিমাণে কম কিনেন। ”

বিভিন্ন হাওর ও মোহনগঞ্জ, কলমাকান্দা উপজেলার  শুঁটকির বাজার থেকে কার্তিক মাস থেকে শুরু করে ৫মাস পর্যন্ত শুঁটকির স্বাদই অন্যরকম কিন্তু শুঁটকির দাম বেশি হওয়ায় এখন সাধারণ মানুষ আগের মতো শুঁটকি খেতে পারেন না।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহজাহান কবির জানান, “চ্যাপা শুঁটকি কারিগরদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রয়েছে  এবং ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করে  স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে চ্যাপা শুঁটকি তৈরি করতে  সহয়তা করবেন”।

খুলনায় আওয়ামী লীগের মিছিল

খুলনায় আওয়ামী লীগের মিছিল

 


ভবনা ডেস্ক : 

খুলনার জি‌রোপ‌য়ে‌ন্টে ঝটিকা মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। আজ রোববার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে জিরো পয়েন্ট এলাকায় ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, খুলনা জেলা শাখা’র ব্যানারে তাঁরা এই মিছিল করেন।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর খুলনায় এটাই আওয়ামী লীগের প্রথম কোনো কর্মসূচি পালিত হলো। আজ সকালের ওই মিছিলের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

জিরো পয়েন্ট এলাকাটি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) হরিণটানা থানার মধ্যে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খাইরুল বাশার বলেন, হঠাৎ গাড়ি থেকে নেমেই ঝটিকা মিছিল করে পালিয়ে গেছেন আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। সকালের দিকে হওয়ায় সে সময় রাস্তাঘাট অনেকটা ফাঁকা ছিল। পুলিশ মিছিলকারীদের আটক করতে তৎপর আছে।

সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫

ফ্যাসিবাদের অবসানের বার্তায় শেষ হলো বাংলা নববর্ষের ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’

ফ্যাসিবাদের অবসানের বার্তায় শেষ হলো বাংলা নববর্ষের ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’

 



ভবনা ডেস্ক :‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্যে উদযাপিত বাংলা নববর্ষ -১৪৩২ এর আনন্দ শোভাযাত্রা ফ্যাসিবাদের অবসানের বার্তা দিয়ে শেষ হয়েছে।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ, টিএসসি, দোয়েল চত্বর ঘুরে আবার চারুকলা অনুষদের সামনে এসে শেষ হয়। 


আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নিতে সকাল থেকেই চারুকলা প্রাঙ্গণ ছিল উৎসবের রঙে রাঙানো। ভোরের আলো ফুটতেই জনস্রোত জমতে শুরু করে। রমনা, টিএসসি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ আশপাশের এলাকায়ও ছিল মানুষের ঢল। 

শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন চারুকলার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মী, ২৮ টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং নানা বয়সী মানুষ। এতে মুখোশ, পাপেট বাঁশের তৈরি বাঘ, পাখি, মাছসহ নানা বিশালাকৃতির শিল্পকর্মের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে গ্রামীণ জীবন ও প্রকৃতিনির্ভর মানুষের সংগ্রামের রূপ। 

একবারের আনন্দ শোভাযাত্রায় বিশেষ নজর কেড়েছে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার মুখাবয়ব মোটিফ। এছাড়াও আনন্দ শোভাযাত্রায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিভিন্ন মোটিফ স্থান পেয়েছে।