রাজধানী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
রাজধানী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫

জাতীয় গ্রিডে ত্রুটির কারণে ঢাকা বিভাগের বেশ কয়েকটি জেলাসহ খুলনা ও বরিশাল বিভাগের সবকটি জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন

জাতীয় গ্রিডে ত্রুটির কারণে ঢাকা বিভাগের বেশ কয়েকটি জেলাসহ খুলনা ও বরিশাল বিভাগের সবকটি জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন

 




ভবনা ডেস্ক : জাতীয় গ্রিডে ত্রুটির কারণে ঢাকা বিভাগের বেশ কয়েকটি জেলাসহ খুলনা ও বরিশাল বিভাগের সবকটি জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটেছে। এতে অন্ধকারে রয়েছে জেলাগুলো।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৫টা ৪৮ মিনিটে জাতীয় গ্রিডে সমস্যা দেখা দেয়। ফলে সন্ধ্যা নামতেই অন্ধকারে ছেয়ে যায় দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের ২১ জেলা।

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হায়দার আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গোপালগঞ্জের আমিন বাজারে ন্যাশনাল গ্রিডে সমস্যা হওয়ায় এ ব্ল্যাকআউট হয়। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে এবং বিভিন্ন জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ করা সম্ভব হচ্ছে। তবে পুরোপুরি সমাধান হতে আরো কিছু সময় লাগবে। কাজ চলমান আছে। খুব শিগগির স্বাভাবিক অবস্থায় চলে আসবে।

তিনি আরো বলেন, খুলনা শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয় ৫টা ৪৮ মিনিটে। এর দুই ঘণ্টা পর ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। তবে সব জেলায় এখনো পুরোপুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হয়নি।

শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৪

বাজারে আসতে শুরু করেছে শীতের সবজি

বাজারে আসতে শুরু করেছে শীতের সবজি


 ভবনা ডেস্ক: দাম যেনো স্থির হচ্ছে না রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজার। একটির দাম কমলে বেড়ে যায় অন্য পণ্যের দাম। এরই মধ্যে শীতকালীন সবজি বাজারে আসা শুরু করলেও খুচরা বাজারে পাওয়া যায়নি এর প্রভাব। এতে করে বিপাকে পড়তে হচ্ছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় কেজি প্রতি ব্রয়লার মুরগীর দাম কমেছে ১০ থেকে ২০ টাকা। ডিমের দামও কিছুটা কমেছে। 


শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর কচুক্ষেত বাজার ঘুরে ও সংশ্লিষ্ট ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।


এসময় ডজন প্রতি ফার্মের ডিম ১৪৪-১৫০ টাকা টাকা, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮৫-১৯০ টাকা এবং সোনালি মুরগি ২৯০-৩০০ টাকা ও গরুর মাংসের কেজি ৭০০ টাকা বিক্রি হতে দেখা যায়।


মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চাষের শিং মাছের কেজি (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, রুই ৩৫০-৪০০ টাকা, দেশী কৈ ৭০০ টাকা, দেশি ট্যাংরা ৫০০ টাকা, পাঙ্গাস ২২০-২৫০, কাচকি ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০-২৮০ টাকা, পাবদা ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


মুরগীর দাম নিয়ে জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ চিকেন হাউজের স্বত্তাধিকারী আব্দুর রইফ বলেন, মুরগীর দাম এখন কিছুটা কম। কিছুদিন আগে ২০০-২১০ টাকা পর্যন্ত ব্রয়লার বিক্রি করছি এখন কমে আসছে। পাকিস্তানি সোনালির দামও কমেছে।


এসময় সবজি কিনতে আসা আব্দুল লতিফ নামের এক ক্রেতা বলেন, সারাদিন খবরে দেখি সবজির দাম কমছে, শীতের সবজি বাজারে আসছে কিন্তু বাজারে এসে তো তেমন কিছুই দেখি না। সবই বিক্রি হচ্ছে আগের দামে। কিছুটা হয়তো কমছে কিন্তু সেটাকে তো কমা বলে না।


আরিফুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, অনেক কষ্টের মধ্যে দিয়ে আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের বাজার করতে হয়। শাকসবজি কিনতে গেলেই টাকা শেষ হয়ে যায় মাছ-মাংসের দিকে তো যাওয়ারই উপায় নেই। সরকার যদি বাজারের দিকে বিশেষভাবে নজরদারি না করে তাহলে আমাদের মতো পরিবারগুলোকে না খেয়ে মরতে হবে।


বাজার ঘুরেও পাওয়া যায় একথার সত্যতা। এদিন শীতের সবজির আধিক্য দোকানগুলোতে দেখা গেলেও দামে তাতে খুব একটা প্রভাব ফেলেনি। অন্যদিকে বেড়েছে আলু, পেয়াজ সহ আদা-রসুনের দামও। তবে স্থিতিশীল রয়েছে ব্রয়লার মুরগীর দাম।


এদিন বাজারটিতে প্রতি কেজি উস্তে ১০০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, শসা ৬০-৮০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৫০-৭০ টাকা, বাধা কপি প্রতি পিস ৪০ টাকা, বরবটি কেজি প্রতি ১০০ টাকা, পটল ১০০ টাকা কেজি দরে, শিমের কেজি ১২০ টাকা, মুলা ৮০ টাকায়, গোল বেগুন ১৪০ টাকায়, কাচামরিচ কেজি প্রতি ২০০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, গাজর ১৬০ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।


এছাড়াও প্রতি কেজি আলু ৭০ টাকা, প্রতি কেজি বড় পেঁয়াজ ১০০ ও দেশি পেঁয়াজ ১৪০ টাকা, রসুন ২৩০ টাকা, আদা ২৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছিলেন বিক্রেতারা।

রাজধানীতে বিএনপির র‌্যালি আজ

রাজধানীতে বিএনপির র‌্যালি আজ



 ভবনা ডেস্ক:জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে আজ র‌্যালি বের করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। 


শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র‍্যালিটি শুরু হবে। এতে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, জ্যেষ্ঠ নেতা, মহানগর নেতা ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেবেন।


নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে থেকে র‍্যালির উদ্বোধন করবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আর মানিক মিয়া এভিনিউতে সমাপনী বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। লন্ডন থেকে তিনি ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হবেন বলে জানিয়েছে বিএনপি মিডিয়া সেল।


বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিএনপির পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শোভাযাত্রাটি রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল, মৎস্য ভবন, ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, শাহবাগ, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার ও ফার্মগেট হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে গিয়ে শেষ হবে।


এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, র‍্যালিতে শুধু বিএনপির নেতাকর্মীরা থাকবে না, সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করবে। সেই সঙ্গে ঢাকা জেলার আশপাশের নেতাকর্মীরা ও সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করবে।


প্রসঙ্গত, ৭ নভেম্বরকে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে বিএনপি। দিবসটি উপলক্ষে শুধু রাজধানীতেই নয়, বিভাগীয় শহরগুলোতেও র‍্যালির আয়োজন করেছে দলটি।

শুক্রবার, ১ নভেম্বর, ২০২৪

রাজধানীর কাকরাইল ও এর আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

রাজধানীর কাকরাইল ও এর আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

 



ভবনা ডেস্ক: ঢাকা মহানগর পুলিশ রাজধানীর কাকরাইল ও এর আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গণ-বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং- III/৭৬) এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামীকাল শনিবার (২ নভেম্বর) রাজধানীর পাইওনিয়ার রোডের ৬৬ নং ভবন, পাইওনিয়ার রোড, কাকরাইলসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় যে কোনো প্রকার সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।

আগামীকাল শনিবার দুপুর ২টায় রাজধানীর কাকরাইলে মিছিল ও সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় পার্টি। চেয়ারম্যান ও মহাসচিবসহ দলের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ছাড়াও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবিতে ওই সমাবেশে ডেকেছে জাতীয় পার্টি। একই দিন জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে গণপ্রতিরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা। এ অবস্থায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএমপি।

বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪

সাবেক মেয়র আতিক গ্রেফতার

সাবেক মেয়র আতিক গ্রেফতার

 



রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএস এলাকা থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।


আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএস এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মোহাম্মদপুর থানায় দায়েকৃত তিন পৃথক হত্যা মামলার আসামি আতিকুল ইসলাম। ৫ আগস্ট পরবর্তীতে বিভিন্ন থানায় দায়ের হওয়া একাধিক মামলায়ও তার নাম রয়েছে।


সরকার বদলের প্রেক্ষাপটে গত ১৯ আগস্ট দেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। এ তালিকায় ছিলেন সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামও।


আতিকুল ইসলাম ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচনে প্রথম মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন।


২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হন। এর আগে ২০১৩-১৪ মেয়াদে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৪

এবার ৭ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা

এবার ৭ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা

 


ভবনা ডেস্ক: 

শনিবার (১৯ অক্টোবর) দ্বিতীয় দফায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এবার ৭টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর হেয়ার রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য জানান।

আবুল কালাম আজাদ জানান, রাষ্ট্র সংস্কারের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছে। গত সপ্তাহে একটি সংলাপ হয়েছে। তার ধারাবাহিকতায় শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবারও সংলাপ করবে সরকার।

সংলাপের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে গণফোরাম, এলডিপি, বারো দলীয় জোট, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (আন্দালিব রহমান পার্থ), জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণতান্ত্রিক মুক্তি কাউন্সিল ও লেবার পার্টিকে। তবে এবারও সংলাপে জাতীয় পার্টিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

উপপ্রেস সচিব বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনায় জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। এ সময় মির্জা ফখরুলের মাইনাস টু ফর্মুলা ইস্যুতে মন্তব্য বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারের এমন কোনো পরিকল্পনা নেই। এসব নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি এবং তা হওয়ার সম্ভাবনাও নেই।

তিনি আরও বলেন, চাঁদাবাজি করলে শক্ত হাতে দমন করা হবে। এ বিষয়ে সরকার সচেষ্ট রয়েছে। বাজার সিন্ডিকেট ভাঙার চেষ্টা চলছে। কারা দাম বাড়াচ্ছে তা জানানো হলে সরকার ব্যাবস্থা নেবে। পরিবহনে চাঁদাবাজির বিষয়ে খাত সংশ্লিষ্টরা কাজ করবেন। এ সময় আড়তদাররা সরাসরি খামার থেকে ডিম সংগ্রহ করবে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।

গার্মেন্টস ইস্যুতে তিনি বলেন, বর্তমানে ৯৯ শতাংশ গার্মেন্টস খোলা রয়েছে। দুই-একটি গার্মেন্টস বন্ধ রয়েছে। তবে সেখানে শ্রমিক অসন্তোষ নেই। শিগগিরই সেগুলো খোলা হবে।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটে গত ৫ আগস্ট। তারপর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার সরকার এরইমধ্যে দুই দফা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেছে। তবে আগের দুই দফা ও আগামীতেও ‘ফ্যাসিবাদী শাসন’ ও ‘গণহত্যায়’ অভিযুক্ত আওয়ামী লীগকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি এবং হবে না বলে আগেই সরকার জানিয়েছে।

মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৪

দুই দিনের রিমান্ডে সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক ও ফারুক খান

দুই দিনের রিমান্ডে সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক ও ফারুক খান

 




ভবনা ডেস্ক: আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খানের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পৃথক দুই মামলায় আজ মঙ্গলবার তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।


অপরদিকে, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় মি. রাজ্জাককে রাজধানীর ইস্কাটন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। আর গভীর রাতে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে আটক করা হয় আরেক শীর্ষ নেতা ফারুক খানকে।


জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে আব্দুর রাজ্জাককে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক নাজমুল হাচান ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। অপরদিকে আসামি পক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছানাউল্ল্যার আদালত তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।


একইদিন নিউমার্কেট থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খানকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক নাজমুল হাচান। রিমান্ডের পক্ষে রাষ্ট্র পক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী শুনানি করেন। আসামি পক্ষে শ্রী প্রাণনাথসহ প্রমুখ আইনজীবী রিমান্ড বাতিল পূর্বক জামিনের আবেদন করেন। দুই পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছানাউল্ল্যহ দুই দিনের রিমান্ড আদেশ দেন।

সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৪

আদর্শ সমাজ গঠনে মুফাসসিরদের ভূমিকা অপরিসীম- আমীরে জামায়াত

আদর্শ সমাজ গঠনে মুফাসসিরদের ভূমিকা অপরিসীম- আমীরে জামায়াত

 


বিশেষ প্রতিবেদকঃ আদর্শ সমাজ গঠনে মুফাসসিরদের ভূমিকা অপরিসীম বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরিনের উদ্যোগে সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকালে ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দেশবরেণ্য মুফাসসিরদের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় মুফাসসির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।ডা. শফিকুর রহমান বলেন, মুফাসসিররা হলো পথহারা জাতির পথ প্রদর্শক। সঠিক পথের সন্ধান দেওয়া জাতির প্রতি মুফাসসিরদের কোনো দয়া নয় বরং এটা তাদের দায়িত্ব। আপনারা জাতির রাহবার। অতীতে যারা এই দায়িত্ব আঞ্জাম দিয়েছেন আমরা তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। তারা কারও চোখ রাঙানিকে পরোয়া করেনি বরং প্রয়োজনে আল্লাহর রাস্তায় জীবনকে কোরবানি করে দিয়েছেন। কাজেই দ্বীন প্রচারের কাজে বাধা আসবেই সে বাধাকে মোকাবিলা করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, তাফসির মাহফিল থেকে জনগণ যে রুহানি খোরাক চায় সে বিষয়ে যারা তাফসির পেশ করেন তারা সচেতন আছেন। আপনাদের আরও একটু বেশি সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাই। যদি আপনাদের বয়ানটা কুরআন, সুন্নাহ ও সাহাবিদের জীবনের আলোকে হয় তাহলে মানুষ এর থেকে শিক্ষা নিয়ে বাস্তব জীবনে আমল করতে পারবেন। তাছাড়া মুফাসসিরদের একেকটা বক্তব্য জাতির একেকটা মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এটা যুগেযুগে প্রমাণিত হয়েছে। কেন না ওলামারা কোটি কোটি মানুষের কলিজা, প্রাণ প্রিয় মানুষ ও আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক।আল্লামা মাওলানা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদির স্মরণে তিনি বলেন, আজ তাকে আমার বড়ই মনে পড়ছে, এই ফুলের বাগানটা তিনিই সাজিয়ে গিয়েছেন। আজ তিনি থাকলে মনভরে দেখতে পারতেন। কারাগারে তার সঙ্গে আমার দুবার মোলাকাত হয়েছে, তার ইচ্ছা ছিল কোরআনের ময়দানে তিনি আবার ফিরে আসবেন ও পবিত্র কাবায় জিয়ারত করবেন। কিন্তু তিনি তার সবকিছু আল্লাহর রাস্তায় বিলিয়ে দিয়ে শাহাদাত বরণ করেছেন। আপনাদের তার রেখে যাওয়া কাজকে আঞ্জাম দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। তিনি এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আল্লামা হযরত মাওলানা লুতফর রহমানসহ সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থেকে দ্বীন প্রচারের জন্য যারা শাহাদাত বরণ করেছেন, কারা নির্যাতিত হয়েছেন, মামলা হামলার স্বীকার হয়েছেন, আমি তাদের জন্য আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম প্রতিদান কামনা করছি।

সংঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক নুরুল আমিনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওলামা বিভাগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খাঁন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের প্রধান উপদেষ্টা নুরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মাদ সেলিম উদ্দিন, ছাত্র সংগঠনের সাবেক কেন্দ্রিয় সভাপতি সাইফুল আলম খান মিলন, বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনূল আবেদীন, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. আ ন ম রফিকুর রহমান, তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু ইউছুফ, মাওলানা ড. সামিউল হক ফারুকী, মাওলানা আবুদস সামাদ, বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের সেক্রেটারি জেনারেল ড. খলিলুর রহমান মাদানী, অধ্যক্ষ মাওলানা শাহজাহান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উলামা বিভাগের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের উলামা বিভাগের সভাপতি ড. হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আ ন ম রশিদ আহমদ আল মাদানী, মদিনাতুল উলুম কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস ড. আবুল কালাম আজাদ বাশার, ছারছিনার পীর শাহ আরিফ বিল্লাহ সিদ্দিকী,আলহাজ্জ শামীম সাঈদী, মুফাসসিরে কোরআন মুফতি আমির হামজা ও আইম্মা উলামা পরিষদের সভাপতি মুফতি রেজাউল করিম আবরার।

বিশেষ অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যুগে যুগে আলেমদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। গত ৫ আগস্ট বিজয়েও আলেমদের ত্যাগ কোরবানি ছিল নজিরবিহীন। অনেক ইমাম খতিব বক্তারা জীবন দিয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরন করেছেন, সারাজীবনের জন্য চোখ হারিয়েছেন যা ইতিহাস হয়ে থাকবে। আগামীর বাংলাদেশ গড়তে এই মুফাসসিরদের সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তাছাড়া দ্বীনের একনিষ্ঠ খাদেম হিসেবে পরকালভিত্তিক জীবন পরিচালনা করতে হবে।এ ছাড়া আরও বক্তব্য দেন, মাওলানা কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল আমিন, মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, মাওলানা মুস্তাক ফয়েজি, মাওলানা লুৎফর রহমান, মাওলানা ফখরুদ্দিন আহমেদ, আব্দুল মোমেন নাসেরী, মাওলানা নাসির উদ্দিন হেলালী, মাওলানা রুহুল আমীন, মুহাদ্দিস মাহমুদুল হাসান, মুহাদ্দিস আবু নছর আশরাফী, মাওলানা মাহমুদূর রহমান দেলওয়ার, মাওলানা সাদিকুর রহমান আজহারী ও মাওলানা মুস্তাফিজ রহমানীসহ অন্য নেতারা।সম্মেলনে দেশবরেণ্য শিল্পীদের মধ্যে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী মশিউর রহমান, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ আজহারী, শিল্পী রোকোনুজ্জামান, শিল্পী কবির বিন সামাদ, শিল্পী নেয়ামতুল্লাহ নিজামী। এ ছাড়াও সম্মেলনে সারা দেশ থেকে আগত তিন হাজারের অধিক মুফাসসিরে কোরআন অংশগ্রহণ করেন।

সকল খুনিদের বিচার করতে হবে- আমীরে জামায়াত

সকল খুনিদের বিচার করতে হবে- আমীরে জামায়াত

 


ভবনা ডেস্কঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর জননেতা ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সকল খুনিদের বিচার করতে হবে। তবে অগ্রাধিকারভিত্তিতে আগে সাম্প্রতিক গণহত্যায় জড়িতদের বিচার করতে হবে। তাদের বিচার এজন্য করতে হবে-শহীদদের তাজা রক্ত এখনো ভাসছে। আহতরা কাতরাচ্ছে। সাক্ষী মজুদ। আলামত জীবন্ত ও স্পষ্ট। যত দ্রুত সম্ভব ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করে ওদেরকে সঠিক পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে।


তিনি আজ ১৩ অক্টোবর রোববার সকালে রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের রুকন (সদস্য) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন এর সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম এর সঞ্চালনায় রুকন সম্মেলনে দারসুল কুরআন পেশ করেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোঃ আব্দুর রব, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন প্রমুখ।


ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “মুষ্টিমেয় কিছু দুর্বৃত্ত ছাড়া বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ মজলুম ছিলেন। আর মজুলুমদের সামনের কাতারে ছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আমরা কোনো জুলুম ও অবিচার কারো ওপর চাই না। তারা দীর্ঘদিন যেসকল কালাকানুন করেছিলেন তাই দিয়ে তাদের বিচার হোক। তারা যেন তাদের সঠিক পাওনাটা পায়। তাদেরকে যেন পাওনা থেকে বঞ্চিত করা না হয়। যার যেটা পাওনা সেইটাই যেন পায়।”


তিনি বলেন, “আমাদের একেকজন নেতাকে হত্যা করে দেশে বিভীষিকাময় অবস্থা তৈরি করা হয়েছে। গল্প ফাঁদা হয়েছে। মিডিয়াগুলোকে অপপ্রচারের হাতিয়ারে পরিণত করা হয়েছে। কত হাজার মামলা আমাদের বিরুদ্ধে- এর অর্থ হলো বাংলাদেশে প্রতিবাদী কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দেওয়া। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কেউ যাতে সোচ্চার প্রতিবাদ করতে না পারে। চতুর্দিক থেকে চাপ প্রয়োগ করে নড়তে দেওয়া হয়নি। শাহবাগে আসর বসিয়ে আজেবাজে জিনিসও সরবরাহ করা হয়েছে।


২০১৩ সালের ৫ মে বিভিন্ন দাবিতে সোচ্চার অরাজনৈতিক একটি সংগঠন হেফাযতের ওপর ক্র্যাকডাউন করা হয়েছিল। তা ছিল আরেকটি মানবতাবিরোধী অপরাধ। এটি ছিল আরেকটি গণহত্যা। কতজনকে হত্যা করা হয়েছে তা আজও জাতি জানতে পারেনি।


প্রধান অতিথি বলেন, “আমরা কোনো সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে আইন হাতে তুলে নিয়ে কোনো প্রতিশোধ নেবো না। তারা যেমনটি আইন হাতে তুলে নিয়ে মানুষকে দুঃখ-কষ্ট দিয়েছে, মানুষের ওপর জুলুম করেছে। আমরা সেটা করবো না। কিন্তু ন্যায়বিচার পেতে আমরা বিদ্যমান আইনের মাধ্যমে জুলুমের প্রতিকার চাইবো। আমরা সেই প্রতিকারটিই চাচ্ছি। গণঅভ্যুত্থানের পর মজলুম দল হিসেবে প্রতিশোধ নেওয়ার অধিকার ছিল জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের। কিন্তু ৫৪ হাজার বর্গমাইলের দেশের কোথাও একটিও প্রতিশোধ নেওয়া হয়নি। আমরা সহকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষী সুধীদেরকে অনুরোধ করেছিলাম আগামীতে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠন করতে চাই । তিনি সকলকে সীমাহীন ধৈর্য্যের পরিচয় দেওয়ার আহ্বান জানান।


বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, “স্বৈরাচারি শাসন কখনো স্থায়ী হয় না। অর্জিত বিজয়কে অর্থবহ ও টেকসই করতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।” তিনি দেশের স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতা রক্ষায় সকলকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের আহবান জানান।


মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, “আমরা বীরের জাতি। তাই আমাদেরকে কেউ কখনো পরাভূত করতে পারেনি; আর কখনো পারবেও না। দেশে দীর্ঘ মেয়াদে ফ্যাসীবাদী এবং স্বৈরাচারি শাসন চলেছে। তারা অবৈধ ক্ষমতাকে চিরস্থায়ি করার জন্য দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিয়েছে। কিন্তু ফ্যাসীবাদের শেষ রক্ষা হয়নি।”


সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মাদ সেলিম উদ্দিন বলেন, “দেশকে ফ্যাসীবাদ মুক্ত করতে আমাদেরকে অনেক ত্যাগ ও কোরবানী করতে হয়েছে। ফ্যাসীবাদ বিরোধী জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। তাদের সকল অপকর্ম জাতির সামনে তুলে ধরে আগামী দিনের কর্মপন্থা নির্ধারণ করার বিকল্প নেই।”


সম্মেলন উদ্বোধন ঘোষণা করেন বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ নাসিব হাসান রিয়ানের পিতা মো. গোলাম রাজ্জাক।

আইনি পোশাক পড়ে ডাকাতি

আইনি পোশাক পড়ে ডাকাতি



ভাবনা ডেস্ক  : রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সেনাবাহিনী ও র‌্যাবের পোশাক পরে ব্যবসায়ীর বাসায় ডাকাতির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও র‌্যাব। এর মধ্যে ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের এলিট ফোর্স র‍্যাব এবং তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর (গোয়েন্দা) পুলিশ।


শনিবার ও রোববার দুই দিন মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।


বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন জানান, গত শুক্রবার দিনগত রাতে মোহাম্মদপুরের তিন রাস্তার মোড় বেড়িবাঁধ এলাকায় ব্যবসায়ী বাসায় ডাকাতির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযান এখনো চলমান আছে।


অন্যদিকে র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস জানান, আটজনকে গ্রেফতার করেছেন। এর পাঁচজন বিভিন্ন বাহিনীর চাকরিচ্যুত ও তিনজন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও এ ঘটনায় কোনো বাহিনীর কেউ জড়িত থাকলে গ্রেফতার করা হবে বলে জানান তিনি।


শুক্রবার দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মোহাম্মদপুর তিন রাস্তা মোড়ের কাছে একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। বাসাটির লোকজনকে জিম্মি করে সাড়ে ৭৫ লাখ টাকা ও ৬০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে তারা। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে।


এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তহিদুর রহমান বলেন, আসামিরা অজ্ঞাত। তবে আসামিদের ধরার অভিযান অব্যাহত আছে।

বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দুদকের ৫ মামলা

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দুদকের ৫ মামলা


ভবনা ডেস্কঃ ঘুষ-দুর্নী‌তির মাধ্যমে বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে পাচারের অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তার পরিবার ও এপিএসসহ ৫ জন‌কে আসা‌মি ক‌রে পৃথক ৫টি মামলা ক‌রে‌ছে দুর্নী‌তি দমন ক‌মিশন (দুদক)। গণঅভ্যুত্থানের পর বিগত সরকারের প্রভাবশালী প্রথম কোনো মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করলো রাষ্ট্রিয় দুর্নীতি বিরোধী এই সংস্থা।

বুধবার (৯ অক্টোবর) ক‌মিশ‌নের জেলা সমন্বিত কার্যালয় ঢাকা-১ এ এসব মামলা করা হয়। কমিশনের অনুমোদনের পর তার পরিবার ও এপিএসসহ তাদের বিরুদ্ধে মোট ৫টি পৃথক মামলা করে কর্মকর্তারা।

প্রত্যেকটি মামলার আসামি করা হয়েছে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। আসাদুজ্জামান খান কামাল ছাড়াও মামলার অন্য আসামীরা হলেন- তার স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খান, তার ছেলে শাফি মোদাচ্ছের খান, মেয়ে সোফিয়া তাসনিম খান ও সহকারী একান্ত সচিব মনির হোসেন।

উল্লেখ্য, গত ১৫ আগস্ট নিয়োগ-পদোন্নতি কিংবা বদলিতে ঘুষ নেয়ার অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। তার পরিপ্রেক্ষিতেই আজ হলো সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে এই ৫ মামলা ।