অন্যান্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
অন্যান্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শনিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৪

দিওয়ালির আতশবাজির দূষণে ভুগছে দিল্লির মানুষ, ৬৯ শতাংশ পরিবারে রোগী

দিওয়ালির আতশবাজির দূষণে ভুগছে দিল্লির মানুষ, ৬৯ শতাংশ পরিবারে রোগী

 

ভবনা ডেস্ক: 

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির দূষণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রতিবছর দিওয়ালির সময় পরিস্থিতি আরও মারাত্মক করে তোলে। এ বছর দিওয়ালির পরদিন গত বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিশ্বের সর্বোচ্চ দূষণের নগরী ছিল দিল্লি। এই বায়ুদূষণ মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলছে। দিল্লি ও জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের (এনসিআর) ৬৯ শতাংশ পরিবার জানিয়েছে, পরিবারের অন্তত একজন সদস্য দূষণের কারণে ভুগছে।

সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

দিওয়ালির রাতে দিল্লি ও এনসিআরের বিভিন্ন অংশে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ৯৯৯-এ পৌঁছে গিয়েছিল। এযাবৎকালের মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ রেকর্ড।

ভারতীয় জরিপ প্রতিষ্ঠান লোকাল সার্কেলসের করা সমীক্ষায় দিল্লি, নয়ডা, গুড়গাঁও, ফরিদাবাদ এবং গাজিয়াবাদের ২১ হাজারের বেশি বাসিন্দার প্রতিক্রিয়া রেকর্ড করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, ৬৯ শতাংশ পরিবারের অন্তত একজন সদস্য গলাব্যথা বা কাশির সমস্যায় ভুগছে। ৬২ শতাংশ পরিবারের অন্তত একজন সদস্য চোখে জ্বলুনি অনুভব করছে এবং ৪৬ শতাংশ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে নাক দিয়ে পানি পড়া বা সর্দি–কাশির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। অনেকেই একাধিক উপসর্গের কথা উল্লেখ করেছে।

রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৪

যে ৭ টি লক্ষণ দেখা দিলে আপনার রাউটার আপডেট করতে হবে, তা জানেন কী?

যে ৭ টি লক্ষণ দেখা দিলে আপনার রাউটার আপডেট করতে হবে, তা জানেন কী?


ভবনা ডেস্কঃ

নতুন প্রযুক্তির যুগে, ইন্টারনেট আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। বাড়িতে এবং অফিসে ইন্টারনেট সংযোগের মূল ভিত্তি হলো রাউটার। কিন্তু, আপনি কী জানেন যে, রাউটারেরও নির্দিষ্ট সময় পর আপডেট করা প্রয়োজন? পুরানো এবং অনিরাপদ রাউটার ব্যবহারের ফলে ইন্টারনেট স্পিড কমে যেতে পারে, নিরাপত্তা ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে পারে এবং অন্যান্য বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।

রাউটারের এমন ৭ টি লক্ষণ নিয়ে আলোচনা করবো, যা দেখা দিলে আপনার রাউটার আপডেট করার সময় হয়েছে বলে ধরে নিতে পারেন। আপনি আপনার রাউটারের ক্ষেত্রে যদি এসব লক্ষণগুলো দেখতে পারেন, তাহলে আপনি এটি ধরে নিতে পারেন যে, এখন আপনার রাউটারটি দ্রুত আপগ্রেড করা উচিত, অর্থাৎ পাল্টানো উচিত।

১. ইন্টারনেট স্পিড কমে যাওয়া এবং ঘন ঘন কানেকশন বিচ্ছিন্ন হওয়া

যদি আপনি দেখেন যে, আপনার ইন্টারনেট স্পিড হঠাৎ করে কমে গেছে এবং কানেকশন ঘন ঘন বিচ্ছিন্ন হচ্ছে, তবে এটি রাউটার আপডেট করার একটি প্রধান লক্ষণ। পুরানো রাউটারের ফার্মওয়্যার সময়ের সাথে সাথে পুরানো হয়ে যেতে পারে, যা নতুন টেকনোলজি এবং ডিভাইসের সাথে সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। এর ফলে, আপনার রাউটারটি ব্যবহার করার সময় ইন্টারনেট‌ ধীরগতির হতে পারে এবং কানেকশন আনস্টাবল হতে পারে।

এছাড়াও, এ ধরনের রাউটার গুলোর নেটওয়ার্কে অতিরিক্ত ডিভাইস যুক্ত হলে বা অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় এই সমস্যাগুলি আরও প্রকট হয়ে উঠতে পারে। তাই, এ ধরনের পরিস্থিতিতে ইন্টারনেট স্পিড এবং কানেকশন স্টাবেলিটি বজায় রাখতে রাউটার আপডেট করা অত্যন্ত জরুরি।

২. সীমিত কভারেজ এবং ডেড জোন

যদি আপনার বাড়ির বা অফিসের নির্দিষ্ট কিছু স্থানে ইন্টারনেট না পৌঁছায়, অথবা সিগন্যাল খুবই দুর্বল থাকে, তবে এটি রাউটার আপডেট বা পাল্টানোর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। পুরানো রাউটার গুলোর মধ্যে স্ট্রং সিগন্যাল প্রদান করার ক্ষমতা কম থাকতে পারে, ফলে রাউটার থেকে নির্দিষ্ট এলাকা গুলো ডেড জোন হয়ে যায়। নতুন এবং উন্নত ফার্মওয়্যার সহ রাউটারগুলো ভালো কভারেজ প্রদান করতে সক্ষম, যা আপনার পুরো বাড়ি বা অফিসে স্ট্রং একটি ইন্টারনেট কানেকশন নিশ্চিত করে।

যদি আপনি আপনার রাউটার টি ব্যবহার করার সময় সীমিত কভারেজ এবং ডেড জোনের সমস্যায় পড়ে থাকেন, তবে রাউটার আপডেট করার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করতে পারেন।

৩. আপনার সিলেক্ট করা প্যাকেজ বা পেমেন্ট অনুযায়ী স্পিড দিতে না পারা

আপনার ইন্টারনেট প্যাকেজের যে স্পিডের জন্য আপনি পেমেন্ট করছেন, আপনি যদি ডিভাইস ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সেটি না পান তাহলে ও আপনার বর্তমান রাউটারটি আপডেট করার সময় চলে এসেছে। পুরানো রাউটারের ফার্মওয়্যার প্রায়ই কানেক্টিভিটি এবং স্পিড লিমিট করে, যা আপনার ইন্টারনেট সার্ভিস সম্পূর্ণভাবে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

আপনি যদি দেখেন যে, ইন্টারনেটের স্পিড আপনার কেনা প্যাকেজের চেয়ে কম, তাহলে নিশ্চিতভাবেই রাউটার আপডেট করা উচিত।

৪. ফার্মওয়্যার আপডেট পাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে

যদি আপনার রাউটারটি আর ফার্মওয়্যার আপডেট না পায়, তবে এটিও রাউটার আপডেট বা পরিবর্তন করার প্রধান কারণ হতে পারে। ফার্মওয়্যার আপডেট রাউটারের Performance, Security এবং Stability বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও এ ধরনের আপডেটের ফলে রাউটারটির বিভিন্ন বাগ এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি দূর করে এবং নতুন ফিচার যোগ করে। কিন্তু পুরানো রাউটারগুলির জন্য ম্যানুফ্যাকচাররা সাধারণত ফার্মওয়্যার আপডেট দেওয়া বন্ধ করে দেয়। তাই, আপনার ব্যবহার করা রাউটারটি যদি আর ফার্মওয়্যার আপডেট না পায়, তাহলে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনার সিকিউরিটি ও পারফরম্যান্স নিশ্চিত করার জন্য একটি নতুন রাউটারের আপডেট করার সময় এসেছে।

৫. আগুন লাগার মত অতিরিক্ত গরম হওয়া

যদি আপনার রাউটার ব্যবহার করার সময় এটি অত্যন্ত গরম হয়ে যায়, তবে এটিও রাউটারটি আপডেট বা পরিবর্তন করার একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। রাউটারের অতিরিক্ত গরম হওয়ার মানে হল যে, এর ইন্টার্নাল হার্ডওয়্যারে সমস্যা হচ্ছে, যা রাউটারের পারফরম্যান্স কে প্রভাবিত করে।

অনেক সময়, পুরানো রাউটার গুলো দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করা হলে এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয়, যা রাউটারের লাইফ টাইম কমিয়ে দেয় এবং ইন্টারনেট সংযোগকে Unstable করে তোলে। অতিরিক্ত গরম হওয়ার ফলে রাউটারের সিস্টেমের বিভিন্ন অংশের ক্ষতি করতে পারে। এমনকি এ ধরনের সমস্যার কারণে আপনার রাউটারটি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই, যদি আপনার রাউটার অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়, তাহলে তা দ্রুত আপডেট বা পরিবর্তন করা উচিত।

৬. রাউটারে অ্যাডভান্স ফিচারগুলোর মিসিং

যদি আপনার রাউটারে আধুনিক এবং অ্যাডভান্স ফিচার না থাকে, তবে আপনার রাউটারটি এখনই আপডেট করার সময় এসেছে। যেখানে নতুন রাউটারগুলো অ্যাডভান্স সিকিউরিটি প্রোটোকল, গেস্ট নেটওয়ার্ক সাপোর্ট, প্যারেন্টাল কন্ট্রোল, এবং আরও অনেক মর্ডান সুবিধা প্রদান করে। এই এডভান্স ফিচার গুলো আপনার নেটওয়ার্ককে আরও Safe, Effective, এবং ব্যবহার উপযোগী করে তোলে।

৭. আপনার রাউটার ১০ বছরের বেশি পুরানো

যদি আপনার রাউটারটি ১০ বছরের বেশি পুরানো হয়, তবে এটি আপডেট বা পরিবর্তন করার সময় এসেছে। টেকনোলজি অনেক দ্রুত পরিবর্তিত হয়‌ এবং ১০ বছর পুরানো রাউটার গুলো বর্তমান ইন্টারনেট স্পিড এবং সিকিউরিটি বিষয়ক প্রয়োজনীয়তার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে না। পুরানো রাউটারগুলি সাধারণত মর্ডান ফার্মওয়্যার আপডেট পায় না, যা সিকিউরিটি রিস্ক বাড়িয়ে দেয় এবং নতুন ডিভাইসের সাথে Consistency এর ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করে।

শেষ কথা

রাউটার আমাদের ইন্টারনেট কানেকশনের মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করে। তাই এর Performance এবং Stability নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। আপনি আপনার রাউটার এর ক্ষেত্রে উপরের লক্ষণ গুলো লক্ষ্য করলে, আপনার রাউটারটি আপডেট বা পরিবর্তন করার সময় এসেছে বলে মনে করতে পারেন। আর একটি নতুন বা আপডেটেড রাউটার শুধুমাত্র আপনার ইন্টারনেট কানেকশনকে Fast এবং Stable ই করবে না, বরং আপনার নেটওয়ার্ককে নিরাপদ রাখতে ও সাহায্য করবে।

তাই, যদি আপনি ইন্টারনেট গতি কমে যাওয়া, ঘন ঘন কানেকশন ডিসকানেক্ট হওয়া, লো কভারেজ এবং অন্যান্য সমস্যার সম্মুখীন হন, তবে দ্রুত আপনার রাউটার আপডেট বা পরিবর্তন করুন। একটি নতুন রাউটার সবসময় আপনার ইন্টারনেট ব্যবহারের এক্সপেরিয়েন্স কে আরো বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে। ধন্যবাদ, আসসালামু আলাইকুম।


আদর্শ শিক্ষকের গুণাবলী

আদর্শ শিক্ষকের গুণাবলী

 


মুফতি হেলাল উদ্দিনঃ


শিক্ষার আলো মানুষের মনকে আলোকিত করে এবং মানবিক গুণাবলিকে করে বিকশিত। আমরা ছোটবেলায় রূপকথার গল্পের মতো একজন আদর্শ শিক্ষকের রচনা বা প্যারাগ্রাফ পড়তাম। একজন আদর্শ শিক্ষকের আসলে কী কী বৈশিষ্ট্য থাকা দরকার। কিংবা কোন কোন গুণাবলী তাকে গড়ে তুলবে একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে।

অনেকেই মহান শিক্ষকতা পেশার সাথে জড়িত তবে সবাই আদর্শ শিক্ষক হতে পারেন না। একজন আদর্শ শিক্ষকই জাতির মেধা গড়ার কারিগর। তাই তাঁকে হতে হবে সেরা মানুষ, অন্য আট/দশজন মানুষের ছেয়ে ব্যতিক্রম। কেননা তাকে দেখেই শিখবে আগামী প্রজন্ম। একজন আদর্শ শিক্ষকের অনেক গুনাবলীর মধ্য থেকে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি গুণাবলী বা বৈশিষ্ট্য আলোচনা করি।১. সবসময় প্রস্তুত থাকেন:একজন আদর্শ শিক্ষক নিজেকে সবসময় প্রস্তুত রাখেন। ছাত্রছাত্রীদের সকল সমস্যার সমাধানে যেন তিনি ত্রাণকর্তা হিসেবে এগিয়ে আসতে পারেন সে বিষয়ে সতর্ক থাকেন এবং তাদের সার্বিক প্রয়োজনে নিজেকে বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত থাকেন। ২. জ্ঞানপিপাসু:আদর্শ শিক্ষক হতে হলে সবসময় জ্ঞানপিপাসু থাকতে হয়। পড়াশোনা ছাড়া একজন আদর্শ শিক্ষকের জীবনে আর কিছুই করার থাকে না। নিজেকে সবসময় ব্যস্ত রাখেন পড়াশোনা মাঝে। তার আরও অনেক বেশি জানার পিপাসা থাকে যেন তিনি তার জ্ঞানটুকু ছাত্রদের মাঝে বিলিয়ে দিতে পারেন। তারা পড়তে অনেক বেশি ভালোবাসেন।৩. প্রত্যেকের সক্ষমতা বিবেচনা করে থাকেন:একজন আদর্শ শিক্ষক সকল শিক্ষার্থীর শেখার সমান সুযোগ সৃষ্টি করে থাকেন। শিক্ষকতার প্রধান কাজ শিখন-শেখানো কার্যাবলী পরিচালনা করা। তাই শিক্ষক বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের প্রতি দায়বদ্ধ থাকেন। শিক্ষার্থীদের প্রত্যেককে ভালোভাবে জানার চেষ্টা করেন, তাদের স্বকীয়তাকে শ্রদ্ধা করেন এবং তাদের প্রত্যেকের পৃথক পৃথক সক্ষমতাকে বিবেচনা করে থাকেন।৪. কথা ও কাজের মিল থাকে:একজন আদর্শ শিক্ষকের কথা ও কাজে মিল থাকে। তিনি কখনও ছাত্রছাত্রীদের মিথ্যা আশ্বাস দিবেন না। শিক্ষার্থীদেরকেও কথা ও কাজে মিল রাখার ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকেন।৫. সব পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেন:এমন অনেক মানুষ আছে যারা যেকোনো পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন না। ফলে অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন। কিন্তু একজন আদর্শ শিক্ষক নিজেকে এমনভাবে প্রস্তুত করে ফেলেন যেন যেকোনো ধরনের পরিস্থিতিতে নিজেকে খুব সহজে মানিয়ে নিতে পারেন এবং যেকোনো ধরনের পরিবর্তনে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেন।৬. ছাত্রছাত্রীদের সত্যের পথে চালিত করেন:একজন আদর্শ শিক্ষক তাঁর ছাত্রছাত্রীদের সবসময় সত্যের পথে চালিত করে থাকেন। কেননা তার কাছে অন্যায়ের কোনো আশ্রয় নেই। তিনি ছেলেমেয়েদের সবসময় ন্যায়ের সাথে চলতে পরামর্শ দেন এবং সত্যের আদর্শে নিজেদের গড়ে তুলতে নির্দেশ দেন।৭. ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ দিয়ে থাকেন:একজন আদর্শ শিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের একটি নির্দিষ্ট উপায়ে পড়িয়ে থাকেন এবং সবসময় উৎসাহ দিয়ে থাকেন। তিনি ভালো করে জানেন যে উৎসাহ ছাড়া একজন শিক্ষার্থী ভালোভাবে এগোতে পারে না। এ কারণে ছাত্রছাত্রীদের কল্যাণে তিনি তাদের উৎসাহ দিয়ে থাকেন সঠিকভাবে এগিয়ে যেতে।

সকল ছাত্রছাত্রীদের জন্য নিরাপদ ও প্রতিযোগিতাপূর্ণ শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পেশাগত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে থাকেন।৮. ছাত্রছাত্রীদের সাথে আত্মিক বন্ধন তৈরি করেন:একজন আদর্শ শিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের সাথে এক ধরনের আত্মিক বন্ধন তৈরি করে ফেলেন। যার ফলে ছাত্রছাত্রীরা যেকোনো সমস্যায় শিক্ষকের কাছে চলে যান এবং তিনি তা খুব সহজ উপায়ে সমাধান করে দেন।৯. আনন্দের সাথে পড়িয়ে থাকেন:একজন আদর্শ শিক্ষক ভালোভাবেই জানেন কোন উপায়ে ছাত্রছাত্রীদের পড়ালে তারা বিষয়টিকে খুব সহজই গ্রহণ করতে পারবে এবং কোনো ধরনের বিরক্ত লাগবে না। তাই তিনি পড়ানোর মাধ্যমটিকে আনন্দময় করে তোলেন। এতে করে ছাত্রছাত্রীরা অনেক বেশি আগ্রহী হয়ে ওঠে এবং পড়ায় মনোযোগী হয়।১০. বিভিন্ন বিষয়ে মতামত দিয়ে থাকেন:

একজন আদর্শ শিক্ষক পড়ানোর পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিজের সুন্দর মতামত তুলে ধরেন এবং ছাত্রছাত্রীদের ভালো কাজের প্রতি উৎসাহ দেন। প্রতিটি শিক্ষার্থীর সকল মতামত ন্যায়সঙ্গতভাবে বিবেচনায় নেন এবং শিক্ষার্থীদের সাথে যথাযথভাবে যোগাযোগ স্থাপন করেন।১১. নৈতিকতাসম্পন্ন:ছাত্রছাত্রীরা ছোটকাল থেকেই তার শিক্ষককে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে তাই একজন আদর্শ শিক্ষক নিজেকে উচ্চ নৈতিকতাসম্পন্ন একজন মানুষ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে থাকেন। এবং ছাত্রছাত্রীদের আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সবসময় সচেষ্ট থাকেন।এছাড়াও একজন আদর্শ শিক্ষক হতে হলে কতগুলো অভ্যাস নিজের মাঝে গড়ে তোলে, এগুলোর নিয়মিত চর্চা করা করতে হবে। যেমন- সুন্দর বাচনভঙ্গি, আকর্ষণীয় উপস্থাপন কৌশল, সুনির্দিষ্ট বিষয়ে জ্ঞানের গভীরতা, দূরদর্শী, কৌশলী, কাজের প্রতি ভালোবাসা, বন্ধুবৎসল হওয়া, অন্যের মতামতের প্রতি গুরুত্ব দেয়া, ভালো শ্রোতা হওয়া, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও আদর্শবোধে উজ্জীবিত হওয়া, সহনশীলতা, পারস্পরিক সহযোগিতার মনোভাব, ক্ষমাশীল, কর্তব্যনিষ্ঠ এবং সহকর্মীদের প্রতি সহনশীল ইত্যাদি।

উপ সহকারী প্রধান শিক্ষক, পশ্চিম বানিয়াখামার দারুল কুরআন বহুমুখী মাদ্রাসা, ইমাম ও খতিব হকার্স মার্কেট জামে মসজিদ খুলনা।

বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪

সকালের নাশতা করা কি ভালো না ক্ষতি?

সকালের নাশতা করা কি ভালো না ক্ষতি?

 

ভবনা ডেস্কঃ ব্রেকফাস্ট বা সকালের নাশতা হচ্ছে দিনের প্রথম খাবার। যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সকালের নাশতা ঠিকমত এবং স্বাস্থ্যকর খাবার দিয়ে করার ফলে শরীর থাকে সুস্থ ও শক্তিশালী। দিনও বেশ ভালো কাটে। যদিও সকালের খাবার শরীরের ওজন কমাতে খুব একটা সহায়ক নয় বলে জানানো হয়েছে বিভিন্ন গবেষণায়।

এর আগে একটি গবেষণায় বলা হয়, প্রতিদিন সকালের নাশতায় যারা ২৬০ ক্যালোরির বেশি গ্রহণ করে, তাদের ওজন যারা সকালে নাশতা করেন না, তাদের তুলনায় অন্তত এক পাউন্ড বেশি হয়ে থাকে। আবার বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালের প্রথম খাবার হতে পারে ক্যালসিয়াম ও আঁশজাতীয় খাবারের ভালো উৎস্য। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে ভালো নাশতা মনোযোগ ও একাগ্রতা বৃদ্ধিতে সহয়তা করা।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে এর আগে জানানো হয়েছে, সকালের নাশতায় শক্তি সরবরাহ করে। সকালে যদি ভরপেট খাবার খাওয়া হয়, তাহলে দিনের পরবর্তী সময় খুব একটা ক্ষুদা লাগে না। এতে কিছুক্ষণ পরপর এটা-সেটা খাবার খাওয়ারও প্রয়োজন হবে না। আর শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহে সকালের নাশতা বেশ জরুরি।

এছাড়া পর্যবেক্ষণভিত্তিক গবেষণা অনুযায়ী, শরীরের সঠিক ওজন বজায় রাখতে সকালের নাশতা কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এর সঙ্গে ভালো ওজনের সর্ম্পৃক্ততা রয়েছে।