সর্বশেষ

বুধবার, ৭ মে, ২০২৫

 ব্রিগেড সদর দপ্তর ধ্বংস, পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ৫ ভারতীয় যুদ্ধ বিমান ভূপাতিত

ব্রিগেড সদর দপ্তর ধ্বংস, পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ৫ ভারতীয় যুদ্ধ বিমান ভূপাতিত

 




ভবনা ডেস্ক : পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন, ভারতীয় বিমান বাহিনীর সাথে সংঘর্ষের পর পাকিস্তান বিমান বাহিনীর সমস্ত যুদ্ধ বিমান নিরাপদে রয়েছে। বিধ্বস্ত হওয়া ভারতীয় বিমান বাহিনীর (আইএএফ) যুদ্ধ বিমানগুলির মধ্যে তিনটি ফরাসি তৈরি রাফায়েল, একটি এসইউ৩০এমকেআই এবং একটি এমআইজি-২৯ ফুলক্রাম রয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে একজন সামরিক মুখপাত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী নিয়ন্ত্রণরেখার (এলওসি) ধুন্দিয়াল সেক্টরে একটি শত্রু পোস্টও ধ্বংস করার দাবি করেছে। নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাথে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তীব্র গুলি বিনিময় চলছে। এর আগে পাকিস্তানের কোটলি, বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে, বাগ এবং মুজাফ্ফরাবাদ সহ ছয়টি স্থানে ভারত হামলা চালায়। পাকিস্তান আইএসপিআর জানিয়েছে, বেসামরিক নাগরিকদের উপর হামলায় আটজন পাকিস্তানি নিহত, ৩৫ জন আহত হয়েছে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী বুধবার ভোরে বলেছেন, পাঞ্জাব এবং আজাদ কাশ্মীরের কয়েকটি শহরে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে আটজন পাকিস্তানি শহীদ এবং ৩৫ জন আহত হয়েছেন। ডিজি আইএসপিআর বিস্তারিতভাবে জানিয়ে বলেন, ভারত পাকিস্তানের ছয়টি স্থানে ২৪টি আক্রমণ চালিয়েছে। এসব হামলার লক্ষ্যবস্তুই ছিল বেসামরিক স্থাপনা, যার বেশিরভাগই মসজিদ ছিল। ভারতীয় গোলাবারুদ আশেপাশের আবাসিক কাঠামোরও ক্ষতি করেছে। ভারতীয় অবৈধভাবে অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের (আইআইওজেকে) পহেলগামে পর্যটকদের উপর হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর পারমাণবিক-সশস্ত্র দুই প্রতিবেশীর মধ্যে তীব্র উত্তেজনার মধ্যে ভারত এই হামলা চালালো।  পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ নিশ্চিত করেছেন, ভারতের সাম্প্রতিক আন্তঃসীমান্ত আগ্রাসনের জবাবে পাকিস্তান বিমান বাহিনী কমপক্ষে পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে।   জিও নিউজের সাথে কথা বলতে গিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ভারতীয় বাহিনীর আক্রমণের জবাবে পাকিস্তান তাদের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপে শীর্ষে রয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় দৃঢ়ভাবে কাজ করেছে। সূত্র:জিও নিউজ

সোমবার, ৫ মে, ২০২৫

খুলনায় চুরির ঘটনায় সংঘর্ষ: গুলিবিদ্ধ আজিজুলকে ঢাকায় প্রেরণ

খুলনায় চুরির ঘটনায় সংঘর্ষ: গুলিবিদ্ধ আজিজুলকে ঢাকায় প্রেরণ





ভবনা ডেস্ক : খুলনার বাগমারা এলাকার একটি দোকান চুরির ঘটনায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় দুর্বৃত্তরা একজনকে গুলি এবং অপরজনকে ধারালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আজ রোববার (৪ মে) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে নগরীর বাগমারা ব্রিজের সন্নিকটে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। আহতরা হলেন, বাগমারা ব্রিজ সংলগ্ন মো. খলিল শেখের ছেলে মো. আজিজ (৪৫), একই এলাকার ইয়াকুব আলী শেখের ছেলে মো. সিরাজুল ইসলাম (৪২) তার ছোটভাই শহিদুল ইসলাম (৩৭) এবং মো. নজরুল ইসলাম। দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে আব্দুল আজিজের বুকের ডানপাশে বিদ্ধ হয়। তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। বাকী তিনজন শঙ্কামুক্ত হওয়ায় তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয়ারা জানান, শনিবার রাতে বাগমারা এলাকার মুদি দোকান শিরীনা স্টোর চুরি হয়। স্থানীয়রা রাতে ওই চুরির ঘটনায় দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলে চুরি হওয়া মালামালা তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। রাতে ওই দু’জনকে থানায় হস্তান্তর এবং পরবর্তীতে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। স্থানীয়রা আরও জানান, রাতের ওই চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার দুপুরে স্থানীয় এক সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে সেখানে গোলাগুলি এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কয়েকজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। আজিজ, সিরাজুল, শহিদুল এবং নজরুল গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনার পর থেকে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করে ওই এলাকায়। যে কোন মুহূর্তে আরও একটি ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী ধারণা করছে। খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ সানোয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এর ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। দোকান চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাগমারা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। উভয় পক্ষকে শান্ত রাখার চেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় ৪ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এদের মধ্যে আজিজের অবস্থা আশংকাজনক। এ ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন এবং সেখানে এখনও পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। 

শাপলা চত্বর ট্র্যাজেডির এক যুগ।  সরকারের শীর্ষ মহলের ছকে চলে নৃশংসতা

শাপলা চত্বর ট্র্যাজেডির এক যুগ। সরকারের শীর্ষ মহলের ছকে চলে নৃশংসতা

 



ভবনা ডেস্ক : আজ ৫ মে। ঢাকার মতিঝিলে শাপলা চত্বর ট্র্যাজেডির এক যুগ পূর্ণ হলো আজ। সড়কের সব বাতি নিভিয়ে চালানো হত্যাকা-ের সেই রাতে শাপলা চত্বরে নিহতের সঠিক সংখ্যা এখনও অজানা। অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বশেষ হিসাবে ৫৮ জন নিহতের কথা বলা হলেও প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে দাবি করছে হেফাজতে ইসলাম। সংগঠনটি বলছে, চিকিৎসাধীন অবস্থায় যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের হিসাবে ধরা হয়নি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন সরকারের শীর্ষ মহলের পরিকল্পনায় হত্যাযজ্ঞ বাস্তবায়ন হলেও অধিকাংশই এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। বিশেষ ব্যবস্থায় দেশ ছেড়েছেন বর্বরোচিত ওই হত্যাকা-ের হোতাদের অনেকেই। উপরন্তু সে সময় তাদের পুরস্কৃত করা হয়। এদিকে সেই রাতে হতাহত হয়েও আসামি হওয়া হেফাজতের নেতাকর্মীদের মামলা আজও প্রত্যাহার করা হয়নি। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী আমাদের সময়কে বলেন, হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হক মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে ৪৫টি মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশসহ জেলা প্রশাসক অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট ১৫টি মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশে তারা কাজ করছেন। দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে প্রত্যাহারের সুপারিশসহ জমা দেওয়া হবে, জানান তিনি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যে কোনো উপায়ে ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের শাপলা চত্বর থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তৎকালীন সরকারের। সরকারের শীর্ষ মহল সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছিল। ফলে র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবি চরম নৃশংসতা চালায় হেফাজতের নেতাকর্মীদের ওপর। শুরুতে প্রতিরোধ গড়ে তুললেও মধ্যরাতে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর শুরু হয় সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও গুলি। প্রকম্পিত শব্দে আর আতঙ্কে হেফাজতের নেতাকর্মীরা দিগি¦দিক ছোটাছুটি করতে থাকেন। সে সময় বুলেটবিদ্ধ হয়ে অনেকেই শাপলা চত্বরের পিচঢালা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের দপ্তর সম্পাদক মাওলানা আফসার মাহমুদ আমাদের সময়কে বলেন, শাপলা চত্বরে যে গণহত্যা চালানো হয়েছিল, দেশের নাগরিক হিসেবে এটার বিচার পাওয়া আমাদের অধিকার। এতদিন মজলুম ছিলাম। আমরা এখন আমাদের ওপর হওয়া জুলুমের বিচার চাই, ইনসাফভিত্তিক বিচার চাই। শাপলা চত্বরের হত্যাকা-ের পর কান্না করারও উপায় ছিল না।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শাপলা চত্বরের ওই ঘটনায় সারাদেশে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৮৩টি মামলা হয়। এ ছাড়া ২০২১ সালে সারাদেশে ১৫৪টি মামলা হয় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে সব মামলা প্রত্যাহারের আশ্বাস দেওয়া হলেও তা এখনও কার্যকর হয়নি।

হেফাজতের নেতারা বলছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার দেশ ছেড়ে পালানোর পর অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের প্রধান দাবি ছিল এসব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা। কিন্তু সরকারের আচরণে আমরা ক্ষুব্ধ। এমন বাস্তবতায় গত ৩ মে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ থেকে আগামী দুই মাসের মধ্যে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে থাকা সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি করা হয়েছে।

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, সারাদেশে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তিন শতাধিক মিথ্যা মামলা হয়েছে। এসব মামলার কোনো তদন্ত হচ্ছে না। আমরা ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই করে রক্ত দিয়ে এ সরকার প্রতিষ্ঠা করেছি। তাই অবিলম্বে আমাদের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোর প্রত্যাহার চাই।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকার টিকিয়ে রাখতে ঢাকার মতিঝিল শাপলা চত্বর থেকে হেফাজতে ইসলামকে সরিয়ে দেওয়ার কোনো বিকল্প ছিল না। সরকারের শীর্ষ নেতৃত্ব বৈঠক করেই সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করে হেফাজতে ইসলামকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। সরকারের নির্দেশে গণহত্যার ছক তৈরি করেছিলেন তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদ। গণহত্যা পরিকল্পনা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নে বেনজীর আহমেদের সঙ্গে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার তৎকালীন প্রধান লে. কর্নেল জিয়াউল আহসান। এর সঙ্গে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির তৎকালীন উচ্চপদস্থ এক ডজনেরও বেশি কর্মকর্তাও জড়িত ছিলেন। অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাড়ে সাত হাজার সশস্ত্র সদস্য নিয়োজিত ছিলেন। যৌথ অভিযানে দেড় লক্ষাধিক গোলাবারুদ ব্যবহার করা হয়।

পুলিশ ও আদালত সূত্র জানিয়েছে, ৫ মের ঘটনায় হেফাজতকে অভিযুক্ত করে রাজধানীসহ সারাদেশে যে ৮৩টি মামলা হয়, এসব মামলায় ৩ হাজার ৪১৬ জনের নামসহ ৮৪ হাজার ৯৭৬ জনকে আসামি করা হয়। ঢাকায় ৪৮টি মামলা দায়ের করা হয়। এগুলোর মধ্যে ২৫টি মামলায় অপরাধ সংঘটনের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ না পাওয়ায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, হেফাজতের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ৪৮ মামলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩৬টি মামলা হয় পল্টন মডেল থানায়। এসবের মধ্যে ২২টি মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে এবং ১৪টি মামলার তদন্ত এখনও চলমান। মতিঝিল থানার অধীনে দায়ের হওয়া ৬টি মামলার মধ্যে ২টির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়েছে, ২টি তদন্তাধীন এবং বাকি ২টি মামলা উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে। রমনা থানায় দায়ের হওয়া ২টি মামলার একটিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে এবং অন্যটি এখনও তদন্তাধীন। শাহবাগ থানার অধীনে দায়ের হওয়া ৪টি মামলার সবগুলো এখনও তদন্তাধীন পর্যায়ে রয়েছে।

পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ মহল হেফাজতের মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাবাপন্ন। সে লক্ষ্যে পুলিশও কাজ শুরু করে দিয়েছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সহিংসতার পর থানাগুলোর কার্যক্রম কিছুদিন বন্ধ ছিল। বর্তমানে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু হওয়ায় মামলাগুলোর তদন্ত শুরু করে হয়েছে। এসব মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার কাজ চলছে।

শাপলা চত্বর গণহত্যা নিয়ে মানবাধিকার সংগঠন অধিকার ২০১৩ সালের ১০ জুন প্রথম অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাদের প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধানে গুলিবিদ্ধ হয়ে হত্যার শিকার ৬১ জনের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করা হয়। আর আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলামের বেওয়ারিশ লাশ দাফনের রেকর্ড থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের মে মাসে অস্বাভাবিক ৩৬৭টি বেওয়ারিশ লাশ দাফন করা হয়, যা প্রতি মাসে গড় বেওয়ারিশ লাশ দাফনের চেয়ে অনেক বেশি।

২০১৩ সালের ১০ জুন তাদের এ সম্পর্কিত প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়, শাপলা চত্বরে গুলিতে ৬১ জন হত্যার শিকার হয়েছেন। রিপোর্টে তাদের নাম-ঠিকানা বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করা হয়। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রিপোর্টে বলা হয়, শাপলা চত্বরে ৫৮ জন নিহত হয়েছেন।

সরকার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘অপারেশন ফ্ল্যাশ আউট’র নাম দিয়ে মধ্যরাতে সড়কের আলো নিভিয়ে অন্ধকারে হত্যার পরিকল্পনাকারী ও বাস্তবায়নকারীদের বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে। ২০১৩ সালের ৫-৬ মে মোতায়েনকৃত ডিএমপির ফোর্সের অবস্থান, অভিযানের পরিকল্পনার সত্যায়িত কপি, কর্মকর্তাদের তৎপরতা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। অপারেশন ফ্ল্যাশ আউটের গণহত্যায় পুলিশের কোন কোন কর্মকর্তার নির্দেশে গুলি করা হয়েছিল; কারা কতটা গুলি করেছিলেন; মাঠ পুলিশের কোন কোন সদস্য আন্দোলন দমনে অংশ নিয়েছিলেন- এসবের বিস্তারিত তদন্ত করছেন অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

২০১৩ সালের ৫ ও ৬ মে ডিএমপিতে দায়িত্বে থাকা একাধিক কর্মকর্তা আমাদের সময়কে বলেন, হেফাজতে ইসলামকে শাপলা চত্বর থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল রাজনৈতিক। বিশেষ করে তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদ ও র‌্যাব কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান অভিযানের নেতৃত্ব দেন।

শাপলা চত্বর গণহত্যার ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের হত্যা-নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা ও অভিযোগ দায়ের হয়েছে। হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে ওই গণহত্যার জন্য ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, যার তদন্তও শুরু হয়েছে।

সেদিন রাতে যা ঘটেছিল

সারাদিন ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাপলা চত্বরে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির যৌথ অভিযান শুরু হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তিন দিক থেকে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের ঘিরে ফেলে আক্রমণ শুরু করে। দক্ষিণে টিকাটুলীর দিকটি খোলা রাখা হয়। রাত ১টা থেকে শাপলা চত্বর ও আশপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। রাত সোয়া ২টা থেকে শুরু হয় গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড আর টিয়ারশেল নিক্ষেপ। অভিযানে দেড় লক্ষাধিক গোলাবারুদ ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে ছিল ৮০ হাজার টিয়ারশেল, ৬০ হাজার রাবার বুলেট, পাঁচ হাজার শটগানের গুলি এবং ১২ হাজার সাউন্ড গ্রেনেড। পিস্তল ও রিভলবারজাতীয় অস্ত্রের গুলির ব্যবহার হয়। রাস্তা আর অলিগলিতে পড়ে থাকে হতাহত মানুষের দেহ।

শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫

জাতীয় গ্রিডে ত্রুটির কারণে ঢাকা বিভাগের বেশ কয়েকটি জেলাসহ খুলনা ও বরিশাল বিভাগের সবকটি জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন

জাতীয় গ্রিডে ত্রুটির কারণে ঢাকা বিভাগের বেশ কয়েকটি জেলাসহ খুলনা ও বরিশাল বিভাগের সবকটি জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন

 




ভবনা ডেস্ক : জাতীয় গ্রিডে ত্রুটির কারণে ঢাকা বিভাগের বেশ কয়েকটি জেলাসহ খুলনা ও বরিশাল বিভাগের সবকটি জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটেছে। এতে অন্ধকারে রয়েছে জেলাগুলো।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৫টা ৪৮ মিনিটে জাতীয় গ্রিডে সমস্যা দেখা দেয়। ফলে সন্ধ্যা নামতেই অন্ধকারে ছেয়ে যায় দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের ২১ জেলা।

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হায়দার আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গোপালগঞ্জের আমিন বাজারে ন্যাশনাল গ্রিডে সমস্যা হওয়ায় এ ব্ল্যাকআউট হয়। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে এবং বিভিন্ন জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ করা সম্ভব হচ্ছে। তবে পুরোপুরি সমাধান হতে আরো কিছু সময় লাগবে। কাজ চলমান আছে। খুব শিগগির স্বাভাবিক অবস্থায় চলে আসবে।

তিনি আরো বলেন, খুলনা শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয় ৫টা ৪৮ মিনিটে। এর দুই ঘণ্টা পর ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। তবে সব জেলায় এখনো পুরোপুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হয়নি।

সংসদ ও রাষ্ট্রপতির মেয়াদ ৫ বছরের পক্ষে জামায়াতে ইসলামী

সংসদ ও রাষ্ট্রপতির মেয়াদ ৫ বছরের পক্ষে জামায়াতে ইসলামী

 




ভবনা ডেস্ক : জাতীয় সংসদ ও রাষ্ট্রপতির মেয়াদ আগের মতোই ৫ বছর রাখার পক্ষে মত দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ঐকমত্য কমিশন চার বছর মেয়াদের প্রস্তাব দিলেও জামায়াত চায়, এই মেয়াদ পাঁচ বছরই থাকুক। তবে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদের প্রস্তাবে একমত হয়েছে দলটি।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী বৈঠকের মধ্যবর্তী অংশ শেষে এ কথা জানান দলটির নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের।

ডা. তাহের বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব ছিল, সংসদ ও রাষ্ট্রপতির মেয়াদ চার বছর হবে। আমরা এর সঙ্গে দ্বিমত জানিয়েছি। আমরা বলেছি, সংসদ ও রাষ্ট্রপতির মেয়াদ পাঁচ বছর থাকবে।

তবে, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত বলে জানিয়েছে জামায়াত।

ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। তবে এটার ফরমেশন, ন্যাচার, প্রসেস সম্পর্কে আমরা আলোচনা করছি।

জামায়াতের এই নায়েবে আমীর বলেন, জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মতবিনিময় চলছে। পাঁচটি কমিশনের রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল। আমরা আলোচনা শুরু করেছি সংবিধান সংস্কারের ওপরে দেওয়া প্রস্তাবনা দিয়ে। আলোচনা বেশ ফলপ্রসু হচ্ছে বলে আমরা মনে করছি। অনেক বিষয়ে আমাদের ভেতরে মতবিনিময় হয়েছে, নানা বিষয়ে ব্যাখ্যা হয়েছে। কিছু কিছু বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি।

অবশ্য, আলোচনা আজ শেষ নাও হতে পারে জানিয়েছেন তিনি। ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, বিষয়গুলো জাতীয় স্বার্থের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বড় অংশীদার হিসেবে জামায়াতে ইসলামী অত্যন্ত গুরুত্ব ও মনোযোগের সঙ্গে সমস্ত সংস্কারকে বিবেচনা করছে। যেটা দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণকর আমরা সে ব্যাপারে মত দিচ্ছি, একমত হচ্ছি। এখানে ব্যক্তি বা দল আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। বাংলাদেশ, বাংলাদেশের মানুষ, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ এবং সমৃদ্ধ শান্তিময় বাংলাদেশ আমাদের লক্ষ্য।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষে এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত রয়েছেন কমিশন সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার ও ড. ইফতেখারুজ্জামান।

অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে রয়েছেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, ড. হামিদুর রহমান আযাদ, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দসহ ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল।

শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫

ময়মনসিংহে ডা. শফিকুর রহমান আমরা দেশকে এমনভাবে গড়বো যেখানে ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে না

ময়মনসিংহে ডা. শফিকুর রহমান আমরা দেশকে এমনভাবে গড়বো যেখানে ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে না

 



ভবনা ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আজকে বাংলাদেশ একটি অঙ্গীকারে আবদ্ধ। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেই বাংলাদেশে কোনো ধরনের জুলুম হবে না, শোষণ হবে না, নিপীড়ন হবে না। নতুন কোনো ফ্যাসিবাদের জন্ম নিবে না। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই যেখানে মানুষে মানুষে কোনো বৈষম্য থাকবে না, যেখানে আমরা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হবো না, যেখানে দুর্নীতির দুর্গন্ধও থাকবে না। ঘুষের যাঁতাকলে পিষ্ঠ হয়ে কোনো নাগরিক কাঁদবে না। বিচারের বাণী আর নিভৃতে কাঁদবে না, বিচার না পেয়ে কেউ আত্মহত্যা করবে না। সেই চিত্র আর আমরা বাংলাদেশে দেখতে চাই না। এমন বাংলাদেশ চাই, যেখানে দল-ধর্মের অধিকারের ব্যাপারে কোনো ব্যবধান থাকবে না। দেশের প্রতিটি নাগরিকের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ময়মনসিংহের সার্কিট হাউজ ময়দানে মহানগরী জামায়াত আয়োজিত বিশাল কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন।

মহানগরী আমীর কামরুল আহসান এমরুলের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি শহীদুল্লাহ কায়সারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি এড. মতিউর রহমান আকন্দ।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা বাংলাদেশকে আল্লাহর বিধান এবং সুন্নাহর ভিত্তিতে দেখতে চাই। নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সা. প্রতিষ্ঠিত মদিনার নগর রাষ্ট্রটি ছিল লিখিত সংবিধানের ভিত্তিতে দুনিয়ার প্রথম আধুনিক রাষ্ট্র। এর আগে দুনিয়ার কোনো রাষ্ট্রের লিখিত সংবিধান ছিল না। মদিনা কেন্দ্রিক নগররাষ্ট্র থেকেই দুনিয়ার প্রথম লিখিত সংবিধানের জন্ম। এখান থেকেই হিউম্যান চার্টার্ড তৈরি হয়েছে এবং এটাকে চ্যালেঞ্জ করার দুঃসাহস দুনিয়ার কোনো মতবাদের নেই। মদিনার এই সনদের মাধ্যমেই সকল মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, জাতির সাথে বেঈমানী করলে সে যেই ধর্মের লোকই হোক তাকে শাস্তি পেতেই হবে। বিশ্বাসঘাতকদের দুনিয়ার কোনো রাষ্ট্রই ক্ষমা করে না। কারণ এটা রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন। মূল সার্বভৌমত্বের মালিক আল্লাহ রাব্বুল আলামীন। তিনি পবিত্র কুরআনে বলেছেন, ‘হে নবী, আপনি দুনিয়ার মানুষকে জানিয়ে দিন, তিনিই (আল্লাহ) হচ্ছেন দুনিয়ার সকল বাদশাহর মালিক। আসমান-জমিনের একক কর্তৃত্ব একমাত্র তারই।’

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে তারা ধরে নিয়েছিলেন এবং তাদের অহংকারে আমাদের মনে হয়েছিল তারা কিয়ামত পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন। তারা দেশের মজলুম মানুষকে নিয়ে উপহাস করতেন। তারা দেশপ্রেমিক লোকদের ফাঁসি দিয়ে হত্যা করে উল্লাস প্রকাশ করেছেন, মিষ্টি বিতরণ করেছেন। তবে তারা আল্লাহর সঠিক বিচার পেয়েছেন।

তিনি ময়মনসিংহবাসীদের আশ্বস্ত করে বলেন, আল্লাহর মানবিক বিধান কায়েমে আমরা সকলে এক। আমাদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। আমাদের আল্লাহ এক, নবী এক। আমাদের জীবন বিধান এক। তার ভিত্তিতেই ঐক্যের বাংলাদেশ গড়ব ইনশআল্লাহ। এতে কোনো বাধা-বিপত্তি মানব না। কোনো বাধার মুখে থেমে যাব না।

তিনি বলেন, আমরা কোনো অন্যায়ের সাথে আপস করব না। আমাদের একমাত্র ভরসা আল্লাহর ওপর। সুতরাং আমরা ভয় করব একমাত্র আল্লাহকে। আমি বলতে চাই, কেউ যেন আমাদের দিকে চোখ তুলে না তাকায়। যুগে যুগে নবী-রাসূল আলাইহিস সাল্লামগণ এবং তাদের অনুসারীগণ অসত্যের বিরুদ্ধে আপসহীন লড়াই সংগ্রাম করে জীবন দিয়েছেন, তবু কারো কাছে মাথা নত করেননি। আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকুন। ঐক্যের শক্তিতেই বিজয় আসবে ইনশাআল্লাহ। কোনো ব্যক্তি বা দলকে ক্ষমতায় বসানো আমাদের উদ্দেশ্য নয়। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য।

রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫

নেত্রকোনার চ্যাপা শুঁটকি যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের ভিন্নস্থানে

নেত্রকোনার চ্যাপা শুঁটকি যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের ভিন্নস্থানে

 




ভবনা ডেস্ক: জেলার স্থানীয় মানুষের চাহিদা মিটিয়ে চ্যাপা শুঁটকি যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে। চ্যাপা শুঁটকি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন এ জেলার বেশ কিছু ব্যবসায়ী।

সারাদেশে সিদল নামে পরিচিত থাকলেও জেলাবাসীর কাছে চ্যাপা শুঁটকি মূলত হিদল নামে পরিচিত। এ অঞ্চলে হিদলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে,বিশেষ করে বর্ষাকালে যখন মাঠ, ঘাট, নদীনালা পানিতে টইটম্বুর তখনি গ্রাম-শহরের বেশিরভাগ  রান্নাঘর থেকে ভেসে আসে হিদল ভর্তার ঘ্রাণ। লেবুর রস চিপে হিদল ভর্তা দিয়ে ভাত খাওয়া যেন অমৃত এক খাবার।

হাওরাঞ্চল হিসেবে পরিচিত জেলার  প্রতিটি উপজেলায় কম-বেশি চ্যাপা শুঁটকি উৎপাদন করা হয়ে থাকে। তবে সবচেয়ে বেশি উৎপাদন করা হয় জেলার বারহাট্টা উপজেলার চরসিংধা ও মোহনগঞ্জ উপজেলায় শুঁটকি মহলে। জেলার সদর উপজেলার পঞ্চাননপুর গ্রামেও বেশ কয়েকটি পরিবার এ চ্যাপা শুঁটকি উৎপাদনের সাথে সম্পৃক্ত।

এ চ্যাপা শুঁটকি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রি করা হয় এবং সারাদশেই রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা এ জেলার প্রবাসীরাও দেশ থেকে চলে যাওয়ার সময় সঙ্গে করে নিয়ে যান এ লোভনীয় চ্যাপা শুঁটকি।

পঞ্চাননপুর গ্রামের চ্যাপা শুঁটকি কারিগর শ্রীকান্ত চন্দ্র বর্মণ জানান,” বংশ পরম্পরায় তারা এ কাজের সাথে সম্পৃক্ত, প্রায় একশত বছরেরও বেশি সময় নিয়ে তাদের পরিবার এ কাজ করে যাচ্ছেন।  তারা চ্যাপা শুঁটকির একটি বড় অংশ সনাতন পদ্ধতিতে মাছ প্রক্রিয়াকরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। চ্যাপা শুঁটকির কাঁচামাল তথা পুঁটিমাছ বাছাইকালে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। নষ্ট, পঁচা বা আংশিক পঁচা মাছ ব্যবহার করা হয় না। সদ্য আহরণ করা মাছকে সংগ্রহ করে যথাযথভাবে পরিচর্যা করে শুকানো হয়।

পরবর্তীতে বিভিন্ন বাজার থেকে শুকনো মাছ ক্রয় করে গোডাউনে নিয়ে আসেন। এবং কিছুদিন গোডাউনে রাখার পর শুটকি বাছাই  করা হয় এবং বাছাইকৃত মাছ পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অবস্থায় শুঁটকিকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ”

তিনি আরো জানান, এজন্য প্রথমে মাটির মটকা তেল দিয়ে ভিজিয়ে ভালোভাবে প্রস্তুত করতে হয়। পুঁটি মাছ থেকে উৎপাদিত তেলে অনেক ময়লা ও বাড়তি আর্দ্রতা থাকে তাই প্রাপ্ত তেল ভালোভাবে ছেঁকে নিতে হয়। ছেঁকে নেয়া তেল পুনরায় চুলায় ভালোভাবে ফুটিয়ে বা গরম করে ব্যবহার করতে হয়। এতে তেলে থাকা বাড়তি আর্দ্রতা চলে যায় এবং জীবাণুও মুক্ত হয়। তেলে ভেজানো মাটির মটকা মাটিতে পুঁতে হয়। তারপর মটকার ভিতরে ভালোভাবে পরিষ্কার হাত দিয়ে চেপে চেপে ভরতে হয় বাছাইকৃত শুঁটকি। মটকাতে শুঁটকি ভরা হলে মটকার মুখে চূর্ণ করা শুঁটকি মাছ ও মাছের তেল দিয়ে প্রস্তুতকৃত পেস্ট দিয়ে প্রথমে একটি স্তর তৈরি করতে হয়। স্তরের উপরে মটকার মুখে সমানভাবে একটি পলিথিন কাগজ দিয়ে তার উপর নদী থেকে সংগৃহীত মাটি দিয়ে  ঢেকে পলিথিন মুড়ে  রাখতে হয়। এভাবে কিছুদিন রেখে দেয়ার পর মটকায় চ্যাপা শুঁটকি তৈরি হয় এবং তারপর তা বাজারজাত করা হয়।

কারিগররা জানান বংশ পরম্পরায় তারা শুঁটকি তৈরি করে আসছেন। শুঁটকি উৎপাদন করে কোন রকমে তাদের সংসার চলে, প্রতি মটকি ভরতে ২০০টাকা করে পারিশ্রমিক পান তারা। সরকারি সহায়তা এবং ক্ষুদ্র ঋণ পেলে কাজের গতি এবং জীবন মান উন্নয়ন হতো তাদের।

জেলার মেছুয়া বাজারের শুঁটকি ব্যবসায়ী অমল চন্দ্র জানান “বাজারে চ্যাপা শুঁটকির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।  সারাবছর চ্যাপা শুঁটকির  চাহিদা থাকলে ও বর্ষাকালে বিশেষ  করে বৈশাখ, জৈষ্ঠ্য, আষাঢ় এ তিন মাস  চ্যাপা শুঁটকি সবচেয়ে বেশি বিক্রি  হয়। আর শুঁটকির  দাম বেশি হওয়ায় মানুষের আগ্রহ থাকলেও এখন শুঁটকি পরিমাণে কম কিনেন। ”

বিভিন্ন হাওর ও মোহনগঞ্জ, কলমাকান্দা উপজেলার  শুঁটকির বাজার থেকে কার্তিক মাস থেকে শুরু করে ৫মাস পর্যন্ত শুঁটকির স্বাদই অন্যরকম কিন্তু শুঁটকির দাম বেশি হওয়ায় এখন সাধারণ মানুষ আগের মতো শুঁটকি খেতে পারেন না।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহজাহান কবির জানান, “চ্যাপা শুঁটকি কারিগরদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রয়েছে  এবং ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করে  স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে চ্যাপা শুঁটকি তৈরি করতে  সহয়তা করবেন”।

খুলনায় আওয়ামী লীগের মিছিল

খুলনায় আওয়ামী লীগের মিছিল

 


ভবনা ডেস্ক : 

খুলনার জি‌রোপ‌য়ে‌ন্টে ঝটিকা মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। আজ রোববার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে জিরো পয়েন্ট এলাকায় ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, খুলনা জেলা শাখা’র ব্যানারে তাঁরা এই মিছিল করেন।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর খুলনায় এটাই আওয়ামী লীগের প্রথম কোনো কর্মসূচি পালিত হলো। আজ সকালের ওই মিছিলের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

জিরো পয়েন্ট এলাকাটি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) হরিণটানা থানার মধ্যে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খাইরুল বাশার বলেন, হঠাৎ গাড়ি থেকে নেমেই ঝটিকা মিছিল করে পালিয়ে গেছেন আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। সকালের দিকে হওয়ায় সে সময় রাস্তাঘাট অনেকটা ফাঁকা ছিল। পুলিশ মিছিলকারীদের আটক করতে তৎপর আছে।

সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫

ফ্যাসিবাদের অবসানের বার্তায় শেষ হলো বাংলা নববর্ষের ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’

ফ্যাসিবাদের অবসানের বার্তায় শেষ হলো বাংলা নববর্ষের ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’

 



ভবনা ডেস্ক :‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্যে উদযাপিত বাংলা নববর্ষ -১৪৩২ এর আনন্দ শোভাযাত্রা ফ্যাসিবাদের অবসানের বার্তা দিয়ে শেষ হয়েছে।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ, টিএসসি, দোয়েল চত্বর ঘুরে আবার চারুকলা অনুষদের সামনে এসে শেষ হয়। 


আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নিতে সকাল থেকেই চারুকলা প্রাঙ্গণ ছিল উৎসবের রঙে রাঙানো। ভোরের আলো ফুটতেই জনস্রোত জমতে শুরু করে। রমনা, টিএসসি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ আশপাশের এলাকায়ও ছিল মানুষের ঢল। 

শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন চারুকলার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মী, ২৮ টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং নানা বয়সী মানুষ। এতে মুখোশ, পাপেট বাঁশের তৈরি বাঘ, পাখি, মাছসহ নানা বিশালাকৃতির শিল্পকর্মের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে গ্রামীণ জীবন ও প্রকৃতিনির্ভর মানুষের সংগ্রামের রূপ। 

একবারের আনন্দ শোভাযাত্রায় বিশেষ নজর কেড়েছে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার মুখাবয়ব মোটিফ। এছাড়াও আনন্দ শোভাযাত্রায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিভিন্ন মোটিফ স্থান পেয়েছে। 

শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫

ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মাওঃ মুহাঃ ফজলুর রহমান

ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মাওঃ মুহাঃ ফজলুর রহমান


 আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ফকিরহাট উপজেলার ২ নং লখপুর ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণসহ দেশের প্রবাসের সকল কে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন, ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব , বিশিষ্ট কলামিস্ট ও সমাজসেবক মাওলানা মুহাঃ ফজলুর রহমান।

তিনি খুলনার ঐতিহ্যবাহী পশ্চিম বানিয়া খামার দারুল কুরআন বহুমুখী মাদ্রাসার সহকারি প্রধান শিক্ষক ও হরিণটানা থানাধীন পিঁপড়ামারি বায়তুল আমান জামে মসজিদের খতিব হিসেবে কর্মরত আছেন এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি খুলনা মহানগরীর ২৬ নং ওয়ার্ডের উলামা ও শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এবং ইউনিট সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।