জীবনযাপন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
জীবনযাপন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪

বর্ষায় চুলের যত্ন নেয়ার কয়েকটি সহজ উপায়

বর্ষায় চুলের যত্ন নেয়ার কয়েকটি সহজ উপায়

 


অনলাইন সংস্করণ

বর্ষায় ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি চুলের সমস্যাও বেড়ে যায়। বিশেষ করে আবহাওয়ার তারতম্য চুলে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এ কারণে বর্ষায় চুলে খুশকির সমস্যা, চুল পড়ে যাওয়া আরও রুক্ষ্ম ও শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যা বাড়ে।

তাই বর্ষাকালে চুলের বাড়তি যত্ন প্রয়োজন। এ সময় কীভাবে চুলের যত্ন নেওয়া উচিত, সে বিষয়ে ভারতের অক্সিগ্লো কসমেটিকস প্রাইভেট লিমিটেডের সিইও ও এমডি রচিত গুপ্ত জানান, এ সময় চুলের নিয়মিত ক্লিনজিং ও কন্ডিশনিংয়ের পাশাপাশি সিরাম ব্যবহার করা জরুরি।

বর্ষাকালে চুলে নিয়মিত প্রোটিনপ্যাক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এর পাশাপাশি চুলের যত্নে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। জেনে নিন করণীয়-

বৃষ্টিতে চুল ভেজাবেন না

বৃষ্টির পানির সঙ্গে দূষণ ও বিষাক্ত পদার্থ থাকে, তা চুলে ও ত্বকের সংস্পর্শে এলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। চুল বৃষ্টিতে ভিজে গেলে দ্রুত পরিষ্কার করুন।

চুল পরিষ্কার রাখুন

বৃষ্টির পানি, ঘাম, দূষণ ও ময়লা থেকে চুলকে রক্ষায় নিয়মিত তা পরিষ্কার রাখতে হবে। এজন্য ভালো মানের প্রাকৃতিক উপাদান ভিত্তিক শ্যাম্পু দিয়ে চুল ও মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখুন। এক্ষেত্রে প্রোটিন ও কেরাটিন সমৃদ্ধ শ্যাম্পু বেছে নিন। এগুলো চুল পরিষ্কারের পাশাপাশি এর ক্ষতিও কমাবে।

চুলেরও নিয়মিত পুষ্টির প্রয়োজন হয়, বিশেষ করে বর্ষাকালে। চুলের পুষ্টি নিশ্চিত করার সর্বোত্তম উপায় হলো সপ্তাহে অন্তত দুবার ভালো মানের তেলের ব্যবহার। এক্ষেত্রে অর্গান অয়েল, আমলা শিকাকাই হেয়ার টনিক, ব্রিংরাজ রেগ্রোথ হেয়ার অয়েল বা রেড অনিয়ন হেয়ার অয়েল ব্যবহার করুন।

সঠিক চুলের তেল ব্যবহারে চুল পড়া কমায়। চুলে তেল সারারাত লাগিয়ে রাখতে পারেন বা দু’ঘণ্টা রেখে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে পারেন।

কন্ডিশনার ব্যবহার করুন

চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে কন্ডিশনিং জরুরি। সব ধরনের চুলের জন্যই কন্ডিশনিং আবশ্যক। নিয়মিত কন্ডিশনিং ছাড়াও মাঝে মাঝে ডিপ কন্ডিশনিংও জরুরি। একটি হেয়ার মাস্ক বা ক্রিম চুলকে আর্দ্রতা দেয়, যা চুলকে ঝলমলে, নরম ও পুনরুজ্জীবিত করে।

হেয়ার সিরাম ব্যবহার করুন

চুলকে বিভিন্ন ক্ষতি থেকে বাঁচাতে একটি ভালো মানের হেয়ার সিরাম ব্যবহার করুন। এটি চুলে একটি প্রতিরক্ষামূলক স্তর তৈরি করে, চুলের তৈলাক্তভাব কমায় ও বায়ু দূষণের কারণে হওয়া ক্ষতি থেকেও চুলকে রক্ষা করে সিরাম।

‘মনি কিশোরের শেষ ইচ্ছা ইসলাম ধর্মমতে দাফন’

‘মনি কিশোরের শেষ ইচ্ছা ইসলাম ধর্মমতে দাফন’

 


অনলাইন সংস্করণ

রামপুরায় নিজ বাসা থেকে নব্বই দশকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোরের মরদেহ শনিবার (১৯ অক্টোবর) উদ্ধার করে পুলিশ। জীবদ্দশায় নিজের মরদেহ নিয়ে সিদ্ধান্ত মেয়েকে জানিয়ে গেছেন মনি কিশোর। সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি জানান গায়কের ভাই অশোক কুমার মণ্ডল।

অশোক কুমার বলেন, মনি কিশোরের একমাত্র মেয়ে নিন্তি যুক্তরাষ্ট্রে বাস করছেন। সেখান থেকে তার পরিবারকে তিনি জানিয়েছেন, বাবার শেষ ইচ্ছার কথা। মনি কিশোর মেয়েকে বলে গেছেন তার মৃত্যুর পর যেন ইসলাম ধর্মমতে তাকে দাফন করা হয়।

অশোক কুমার আরও বলেন, ‘নিন্তি জানিয়েছে তার বাবাকে যেন দাফন করা হয়। এমনটাই নাকি ওর বাবা ওকে বলে গিয়েছিল। যেহেতু মেয়েকে বলে গিয়েছে, তাই তার ইচ্ছায় দাফন করা হবে।’

তিনি জানান, আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কাছে মনি কিশোরের মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। এরপর ওরাই সিদ্ধান্ত নেবে, কোথায় মরদেহ দাফন করা হবে? তবে নিন্তির অনুরোধ, তার বাবাকে যেখানেই কবর দেয়া হোক, সেখানে যেন একটা চিহ্ন রাখা হয়। সে যেন বাবার কবরটা খুঁজে পায়।

৯০ দশকে ‘কি ছিলে আমার’ গানটি দিয়ে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন মনি কিশোর। এই এক গানেই গোটা দেশজুড়ে পরিচিত এনে দিয়েছিল তাকে। গানটি পরে কে অপরাধী সিনেমাতেও ব্যবহার করা হয়।

এছাড়া মনি কিশোরের গানের মধ্যে ‘সেই দুটি চোখ কোথায় তোমার’, ‘তুমি শুধু আমারই জন্য’, ‘মুখে বলো ভালোবাসি’, ‘আমি মরে গেলে জানি তুমি’ উল্লেখযোগ্য।

কণ্ঠ দেয়ার পাশাপাশি গানের কথা লিখতেন, সুরও করতেন মনি কিশোর। তার জনপ্রিয় গান ‘কি ছিলে আমার’ তারই লেখা ও সুর করা। ২০টির মতো গান লিখেছেন ও সুর করেছেন জনপ্রিয় এই কণ্ঠশিল্পী।

রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৪

আদর্শ শিক্ষকের গুণাবলী

আদর্শ শিক্ষকের গুণাবলী

 


মুফতি হেলাল উদ্দিনঃ


শিক্ষার আলো মানুষের মনকে আলোকিত করে এবং মানবিক গুণাবলিকে করে বিকশিত। আমরা ছোটবেলায় রূপকথার গল্পের মতো একজন আদর্শ শিক্ষকের রচনা বা প্যারাগ্রাফ পড়তাম। একজন আদর্শ শিক্ষকের আসলে কী কী বৈশিষ্ট্য থাকা দরকার। কিংবা কোন কোন গুণাবলী তাকে গড়ে তুলবে একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে।

অনেকেই মহান শিক্ষকতা পেশার সাথে জড়িত তবে সবাই আদর্শ শিক্ষক হতে পারেন না। একজন আদর্শ শিক্ষকই জাতির মেধা গড়ার কারিগর। তাই তাঁকে হতে হবে সেরা মানুষ, অন্য আট/দশজন মানুষের ছেয়ে ব্যতিক্রম। কেননা তাকে দেখেই শিখবে আগামী প্রজন্ম। একজন আদর্শ শিক্ষকের অনেক গুনাবলীর মধ্য থেকে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি গুণাবলী বা বৈশিষ্ট্য আলোচনা করি।১. সবসময় প্রস্তুত থাকেন:একজন আদর্শ শিক্ষক নিজেকে সবসময় প্রস্তুত রাখেন। ছাত্রছাত্রীদের সকল সমস্যার সমাধানে যেন তিনি ত্রাণকর্তা হিসেবে এগিয়ে আসতে পারেন সে বিষয়ে সতর্ক থাকেন এবং তাদের সার্বিক প্রয়োজনে নিজেকে বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত থাকেন। ২. জ্ঞানপিপাসু:আদর্শ শিক্ষক হতে হলে সবসময় জ্ঞানপিপাসু থাকতে হয়। পড়াশোনা ছাড়া একজন আদর্শ শিক্ষকের জীবনে আর কিছুই করার থাকে না। নিজেকে সবসময় ব্যস্ত রাখেন পড়াশোনা মাঝে। তার আরও অনেক বেশি জানার পিপাসা থাকে যেন তিনি তার জ্ঞানটুকু ছাত্রদের মাঝে বিলিয়ে দিতে পারেন। তারা পড়তে অনেক বেশি ভালোবাসেন।৩. প্রত্যেকের সক্ষমতা বিবেচনা করে থাকেন:একজন আদর্শ শিক্ষক সকল শিক্ষার্থীর শেখার সমান সুযোগ সৃষ্টি করে থাকেন। শিক্ষকতার প্রধান কাজ শিখন-শেখানো কার্যাবলী পরিচালনা করা। তাই শিক্ষক বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের প্রতি দায়বদ্ধ থাকেন। শিক্ষার্থীদের প্রত্যেককে ভালোভাবে জানার চেষ্টা করেন, তাদের স্বকীয়তাকে শ্রদ্ধা করেন এবং তাদের প্রত্যেকের পৃথক পৃথক সক্ষমতাকে বিবেচনা করে থাকেন।৪. কথা ও কাজের মিল থাকে:একজন আদর্শ শিক্ষকের কথা ও কাজে মিল থাকে। তিনি কখনও ছাত্রছাত্রীদের মিথ্যা আশ্বাস দিবেন না। শিক্ষার্থীদেরকেও কথা ও কাজে মিল রাখার ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকেন।৫. সব পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেন:এমন অনেক মানুষ আছে যারা যেকোনো পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন না। ফলে অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন। কিন্তু একজন আদর্শ শিক্ষক নিজেকে এমনভাবে প্রস্তুত করে ফেলেন যেন যেকোনো ধরনের পরিস্থিতিতে নিজেকে খুব সহজে মানিয়ে নিতে পারেন এবং যেকোনো ধরনের পরিবর্তনে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেন।৬. ছাত্রছাত্রীদের সত্যের পথে চালিত করেন:একজন আদর্শ শিক্ষক তাঁর ছাত্রছাত্রীদের সবসময় সত্যের পথে চালিত করে থাকেন। কেননা তার কাছে অন্যায়ের কোনো আশ্রয় নেই। তিনি ছেলেমেয়েদের সবসময় ন্যায়ের সাথে চলতে পরামর্শ দেন এবং সত্যের আদর্শে নিজেদের গড়ে তুলতে নির্দেশ দেন।৭. ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ দিয়ে থাকেন:একজন আদর্শ শিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের একটি নির্দিষ্ট উপায়ে পড়িয়ে থাকেন এবং সবসময় উৎসাহ দিয়ে থাকেন। তিনি ভালো করে জানেন যে উৎসাহ ছাড়া একজন শিক্ষার্থী ভালোভাবে এগোতে পারে না। এ কারণে ছাত্রছাত্রীদের কল্যাণে তিনি তাদের উৎসাহ দিয়ে থাকেন সঠিকভাবে এগিয়ে যেতে।

সকল ছাত্রছাত্রীদের জন্য নিরাপদ ও প্রতিযোগিতাপূর্ণ শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পেশাগত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে থাকেন।৮. ছাত্রছাত্রীদের সাথে আত্মিক বন্ধন তৈরি করেন:একজন আদর্শ শিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের সাথে এক ধরনের আত্মিক বন্ধন তৈরি করে ফেলেন। যার ফলে ছাত্রছাত্রীরা যেকোনো সমস্যায় শিক্ষকের কাছে চলে যান এবং তিনি তা খুব সহজ উপায়ে সমাধান করে দেন।৯. আনন্দের সাথে পড়িয়ে থাকেন:একজন আদর্শ শিক্ষক ভালোভাবেই জানেন কোন উপায়ে ছাত্রছাত্রীদের পড়ালে তারা বিষয়টিকে খুব সহজই গ্রহণ করতে পারবে এবং কোনো ধরনের বিরক্ত লাগবে না। তাই তিনি পড়ানোর মাধ্যমটিকে আনন্দময় করে তোলেন। এতে করে ছাত্রছাত্রীরা অনেক বেশি আগ্রহী হয়ে ওঠে এবং পড়ায় মনোযোগী হয়।১০. বিভিন্ন বিষয়ে মতামত দিয়ে থাকেন:

একজন আদর্শ শিক্ষক পড়ানোর পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিজের সুন্দর মতামত তুলে ধরেন এবং ছাত্রছাত্রীদের ভালো কাজের প্রতি উৎসাহ দেন। প্রতিটি শিক্ষার্থীর সকল মতামত ন্যায়সঙ্গতভাবে বিবেচনায় নেন এবং শিক্ষার্থীদের সাথে যথাযথভাবে যোগাযোগ স্থাপন করেন।১১. নৈতিকতাসম্পন্ন:ছাত্রছাত্রীরা ছোটকাল থেকেই তার শিক্ষককে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে তাই একজন আদর্শ শিক্ষক নিজেকে উচ্চ নৈতিকতাসম্পন্ন একজন মানুষ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে থাকেন। এবং ছাত্রছাত্রীদের আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সবসময় সচেষ্ট থাকেন।এছাড়াও একজন আদর্শ শিক্ষক হতে হলে কতগুলো অভ্যাস নিজের মাঝে গড়ে তোলে, এগুলোর নিয়মিত চর্চা করা করতে হবে। যেমন- সুন্দর বাচনভঙ্গি, আকর্ষণীয় উপস্থাপন কৌশল, সুনির্দিষ্ট বিষয়ে জ্ঞানের গভীরতা, দূরদর্শী, কৌশলী, কাজের প্রতি ভালোবাসা, বন্ধুবৎসল হওয়া, অন্যের মতামতের প্রতি গুরুত্ব দেয়া, ভালো শ্রোতা হওয়া, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও আদর্শবোধে উজ্জীবিত হওয়া, সহনশীলতা, পারস্পরিক সহযোগিতার মনোভাব, ক্ষমাশীল, কর্তব্যনিষ্ঠ এবং সহকর্মীদের প্রতি সহনশীল ইত্যাদি।

উপ সহকারী প্রধান শিক্ষক, পশ্চিম বানিয়াখামার দারুল কুরআন বহুমুখী মাদ্রাসা, ইমাম ও খতিব হকার্স মার্কেট জামে মসজিদ খুলনা।

অহেতুক কর্মকাণ্ডে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত যুব সমাজ

অহেতুক কর্মকাণ্ডে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত যুব সমাজ

 




মোঃ আবুল হাসানঃ

যুবকদের বড় একটি দল জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়কে হেলায় নষ্ট করে দেয়। নিজের সময় নষ্ট করার পাশাপাশি অন্য দশজনের সময়ও নষ্ট করে। অন্যের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। তাদের হৃদয়ে অহেতুক ভীতি ঢুকিয়ে দেয় অথবা তাদের অনুভূতি ও মান-ইজ্জতের সাথে খেলা করে।


এরা সব সময় মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকে। বিনা প্রয়োজনে কোনো বন্ধুকে কল দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অহেতুক কথা বলে সময় নষ্ট করে। অথবা কোনো তরুণীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলানোর চেষ্টা করতে থাকে।


অনেকে মোবাইলে বানিয়ে বানিয়ে নম্বর ডায়াল করে যে কাউকে ফোন করে। এভাবে বন্ধুত্ব পাতিয়ে ফেলে অপরিচিত কোনো ছেলে বা মেয়ের সাথে। অথবা অপরিচিত ব্যক্তিদের শুধু শুধু বিরক্ত করে যায়।


এভাবে অনেক যুবক মোবাইলের মাধ্যমে ফ্লার্ট করে কিংবা হয়রানি করে নিজের ঘরে সুরক্ষিত থাকা কোনো মেয়েকে। এই কাজ করে সে মনে করে, এটা তো কেবল অন্যদের নিয়ে একটু মজা করা হচ্ছে। কিন্তু এভাবে যে তার সময় অহেতুক কাজে বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং মানুষের অনুভূতির প্রতি অন্যায়ভাবে আঘাত দেওয়া হচ্ছে, সেটা তার মনের মধ্যে আসে না।


অনেক যুবক অহেতুক কোনো ব্যক্তিকে কল করে তাকে রাগিয়ে দেয়। তাকে গালাগাল ও খিস্তিখেউড় করতে বাধ্য করে। এভাবে গালি শুনে সে মজা পায়।


তোমাদের জন্য আল্লাহর কাছে দুআ করি। প্রকৃত পুরুষের যৌবন এভাবে অতিবাহিত হতে পারে না। মুসলিম কখনো এভাবে নিজের সময় বিনষ্ট করতে পারে না। হে উম্মাহর যুবসমাজ, তোমরা যা করে সময় নষ্ট করছ, তার জন্য তোমাদের সৃষ্টি করা হয়নি। সুতরাং সময় থাকতে ফিরে আসো, হে প্রিয় যুবকদল, সালাফদের যৌবনকালীন লাইফস্টাইল অনুসরণে ব্রতী হও।

শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৪

ডিমের দাম উর্দ্ধমুখী, খুলনার মানুষের নাভিশ্বাস

ডিমের দাম উর্দ্ধমুখী, খুলনার মানুষের নাভিশ্বাস



ভবনা ডেস্ক : খুলনা জেলায় প্রতিদিন ২ লাখ ডিমের ঘাটতি রয়েছে। এ অঞ্চলে প্রতিদিন হাঁস ও মুরগির ডিমের চাহিদা রয়েছে প্রায় ৪ লাখ। চাহিদার বিপরীতে খুলনায় প্রায় ২ লাখ ডিম উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। ফলে অন্তত ২ লাখ ডিম বাইরে থেকে এনে চাহিদা মেটাতে হচ্ছে। খুলনা পোল্ট্রি ফিশ ফিড শিল্প মালিক সমিতি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশ পোল্ট্রি ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ ফেডারেশনের যুগ্ম মহাসচিব ও খুলনা পোল্ট্রি ফিশ ফিড শিল্প মালিক সমিতির মহাসচিব এস এম সোহরাব হোসেন বলেন, খুলনা জেলায় পোল্ট্রি খামার আছে তিন হাজার। যেখানে প্রায় মুরগি আছে দু’ কোটি। ডিম দেওয়া মুরগি প্রায় এক কোটি। আমাদের দৈনিক খুলনায় ডিমের প্রয়োজন ৪ লাখ। কিন্তু আমাদের উৎপাদন আছে প্রায় ২ লাখ। এ ঘাটতি আমরা রাজশাহী থেকে ডিম এনে পূরণ করি। মূলত এ ডিমগুলো পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে আনা হয়, যা রাজশাহী বলে চালিয়ে দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, খুলনা জেলায় প্রতিদিন মাংসের প্রয়োজন ছয় মেট্রিক টন। আমাদের উৎপাদন হয় তিন মেট্রিক টনের একটু বেশি। বাকি মাংস আমরা পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে সংগ্রহ করি। দাম বাড়ার কারণ হলো ভারত থেকে ডিম মাংস আসা কমে যাওয়া। ডিমের বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার প্রায় ৫০টির বেশি খামারের মুরগি বন্যার কারণে মারা গেছে। আমরা এসব খামারিকে কিছু আর্থিক সাহায্য দেওয়ার চেষ্টা করছি। অতিরিক্ত খুলনা জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার রণজীতা চক্রবর্ত্তী বলেন, জেলায় নিবন্ধিত লেয়ার ফার্মের সংখ্যা ৫৩টি। অনিবন্ধিত ৭৩১ টি। জেলায় বছরে ডিম উৎপাদনের টার্গেট ৫৭ লাখ। যেটা ফিলাপ হয়ে যায় খামারগুলো থেকে। যে কারণে ডিমের দাম এত বেশিঃ অস্থির হয়ে উঠেছে দেশের ডিমের বাজার। সরবরাহ ঘাটতির কারণে বাজারে ডিমের দাম বাড়ছে। এছাড়া ডিমের দাম বেড়েছে ভিন্ন কারণে। বর্তমান সময়ে সবজির উৎপাদন একেবারেই কম। এর চাপ পড়ছে ডিম ও ব্রয়লারের ওপর। ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বন্যা হওয়ায় খামারীরা দুর্ভোগে পড়েছেন এবং ডিমের উৎপাদন কমে গেছে। এছাড়া খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় খামারীরা লোকসানের মুখে মুরগী পালন বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে ডিমের উৎপাদন কমে গেছে। খুলনার পাইকগাছার ফুলবাড়ী গ্রামের খামারী সুশান্ত জোয়াদ্দার জানান, তার ফার্মে ৮০০ লেয়ার মুরগী আছে। যেখান থেকে প্রতিদিন ৭০০ ডিম পাওয়া যায়। ফার্ম থেকেই প্রতিটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১ টাকা ৫০-৬০ পয়সায়। ভারত থেকে ডিম আসছে না বলে বাজারে ডিমের দাম বাড়তি বলে জানান তিনি। এছাড়া দেশে যেসব বড় বড় কোম্পানি ডিম উৎপাদন করত তারা বর্তমানে ডিম উৎপাদনে নেই এ কারণেও দাম বাড়ছে বলে জানান এ খামারী। নগরীর নিরালার মোড়ের খুচরা ডিম বিক্রেতা মাসুদ বলেন, প্রকার ভেদে ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৫২- ৫৪ টাকায়। ডিমের সরবরাহ কম থাকায় দাম এতো বেশি। দৌলতপুর ডিম বিক্রেতারা সিন্ডিকেট করে ডিমের দাম বাড়ায়। খালিশপুরের বাসিন্দা মাহবুবুর রহমান জানান, সরকার যতই চিৎকার করুক না কেন, ডিমের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনতে হলে বাজারে নিয়মিত তদারকি অভিযান খুবই জরুরী। ৫ আগস্টের পর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজারে কোন অভিযান হয়েছে বলে নজির নেই। তবে ভোক্তা অধিকার নাম মাত্র অভিযান করেই তাদের কাজ সমাপ্ত করে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের দাম আকাশছোঁয়া। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাধারণ মানুষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তার ওপরে ডিমের দাম বৃদ্ধি তাদের জন্য নতুন ভোগান্তি যোগ করেছে। নি¤œ ও স্বল্প আয়ের পরিবারের প্রাণিজ আমিষের অন্যতম বড় উৎস ডিম পাতে উঠছে না। নগরীর শের-এ-বাংলা রোডের বাসিন্দা এম রহমান বলেন, বাজারে ডিমের এই চড়া দাম কোনো সাময়িক সমস্যা নয়, বরং দিনের পর দিন ডিম নাগালের বাইরে থাকছে। বর্তমানে একটি ফার্মের মুরগীর ডিম ১৩-১৪ টাকা। ডিমের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় এটি হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। ফলে স্বল্প ও মধ্যম আয়ের মানুষ ডিম কিনে খেতে পারছে না। ইউনি ভিশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অ্যাড. মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, গরিব মানুষের আমিষের প্রধান ভরসা ডিম। বিশেষ করে ছাত্র ছাত্রী ব্যাচেলর যারা তাদের প্রধান খাবার ডিম। বাড়তি দামের কারণে বহু মানুষ আমিষ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি সাধারণ মানুষ।

বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪

সকালের নাশতা করা কি ভালো না ক্ষতি?

সকালের নাশতা করা কি ভালো না ক্ষতি?

 

ভবনা ডেস্কঃ ব্রেকফাস্ট বা সকালের নাশতা হচ্ছে দিনের প্রথম খাবার। যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সকালের নাশতা ঠিকমত এবং স্বাস্থ্যকর খাবার দিয়ে করার ফলে শরীর থাকে সুস্থ ও শক্তিশালী। দিনও বেশ ভালো কাটে। যদিও সকালের খাবার শরীরের ওজন কমাতে খুব একটা সহায়ক নয় বলে জানানো হয়েছে বিভিন্ন গবেষণায়।

এর আগে একটি গবেষণায় বলা হয়, প্রতিদিন সকালের নাশতায় যারা ২৬০ ক্যালোরির বেশি গ্রহণ করে, তাদের ওজন যারা সকালে নাশতা করেন না, তাদের তুলনায় অন্তত এক পাউন্ড বেশি হয়ে থাকে। আবার বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালের প্রথম খাবার হতে পারে ক্যালসিয়াম ও আঁশজাতীয় খাবারের ভালো উৎস্য। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে ভালো নাশতা মনোযোগ ও একাগ্রতা বৃদ্ধিতে সহয়তা করা।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে এর আগে জানানো হয়েছে, সকালের নাশতায় শক্তি সরবরাহ করে। সকালে যদি ভরপেট খাবার খাওয়া হয়, তাহলে দিনের পরবর্তী সময় খুব একটা ক্ষুদা লাগে না। এতে কিছুক্ষণ পরপর এটা-সেটা খাবার খাওয়ারও প্রয়োজন হবে না। আর শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহে সকালের নাশতা বেশ জরুরি।

এছাড়া পর্যবেক্ষণভিত্তিক গবেষণা অনুযায়ী, শরীরের সঠিক ওজন বজায় রাখতে সকালের নাশতা কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এর সঙ্গে ভালো ওজনের সর্ম্পৃক্ততা রয়েছে।